রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ৮১ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বাসায় ফিরলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে গুলশান-২ এর ৭৯ নম্বর রোডের বাসভবন ফিরোজায় নিয়ে আসা হয় সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীকে।
এর আগে সন্ধ্যা ৭টা ২২ মিনিটে এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বের হয় খালেদা জিয়াকে বহনকারী গাড়িটি। গাড়ির পেছনে অবস্থান নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীরা তার মুক্তির দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। খালেদা জিয়া হাসপাতালে থেকে বাসা পৌঁছানো পর্যন্ত পুরো সময় নেতাকর্মীরা তার গাড়ির পেছনে অবস্থা নেন।
বিদায়ী বছরের ১৩ নভেম্বর অসুস্থ হয়ে পড়লে খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে সিসিইউতে ভর্তি করা হয়। এরপর দীর্ঘ চিকিৎসায় শারীরিক অবস্থায় উন্নতি হলে গত ১০ জানুয়ারি তাকে কেবিন স্থানান্তর করা হয়।
খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে থেকে ছাড়পত্র দেওয়ার আগে তার চিকিৎসা গঠিত মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বর্তমানে খালেদা শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে। কিন্তু এভারকেয়ার হাসপাতালে ৩৮০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে খালেদা জিয়াও যদি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় করোনায় আক্রান্ত হন, তাহলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। তাই তাকে বাসায় রেখে চিকিৎসা দেওয়া নিরাপদ বোধ করছি।
এদিকে খালেদা জিয়াকে বাসায় আনার খবরে গুলশানে বাসভবন ফিরোজা সামনে জড়ো হয় বিএনপি ও দলটির অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বাসার সামনে নেতাকর্মীদের উপস্থিতির কারণে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা কিছুটা বিরক্ত বোধ করেন। বারবার ফিরোজার সামনে থেকে নেতাকর্মীদের সরে যাওয়ার জন্য মাইকে অনুরোধ জানায় পুলিশ। তারপরও নেতাকর্মীরা ফিরোজার সামনে অবস্থান নেন।
পুলিশের বলার পরও দলীয় নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার বাসভবনের সামনে অবস্থান নিলে একপর্যায়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কিছুটা ধমকের সুরে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিতে দেখা যায়।
খালেদা জিয়ার বাসায় ফেরার খবরে গুলশানে ৭৯ রোডের রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এভারকেয়ার হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।
খুলনা গেজেট/ এস আই