খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  আইপিএল ইতিহাসে সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার ঋষভ পন্ত

হার্টঅ্যাটাক ও স্নায়ু রোগ প্রতিরোধে ইলিশ উপকারি

লাইফ স্টাইল ডেস্ক

ইলিশ খুবই জনপ্রিয় একটি মাছ। সমুদ্র ও নদীতে থাকা এই মাছ সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণে ভরপুর। হার্টঅ্যাটাক ও স্নায়ু রোগ প্রতিরোধে ইলিশ মাছ খেতে পারেন। ইলিশ ছাড়াও যে কোনো সামুদ্রিক ও তৈলাক্ত মাছ খেলে একই ফল পাওয়া যাবে।

ইলিশের পুষ্টিগুণ

১০০ গ্রাম ইলিশে প্রায় ২১ দশমিক ৮ গ্রাম প্রোটিন। এ ছাড়া রয়েছে উচ্চ পরিমাণ ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, নায়সিন, ট্রিপ্টোফ্যান, ভিটামিন, বি১২, সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামসহ অন্যান্য ভিটামিন ও মিনারেলস।

হৃদযন্ত্র থেকে মস্তিষ্ক, চোখ থেকে হাড়ের কাঠামো সবই মজবুত করে ইলিশে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, কপার, জিঙ্কসহ অজস্র পুষ্টিকর উপাদান।

বারডেম জেনারেল হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ আখতারুন নাহার আলো যুগান্তরকে বলেন, ইলিশ মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা ফ্যাটি অ্যাডিস, যা রক্তজমাট বাঁধতে দেয় না ও রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে। হার্টের রোগীদের জন্য এই মাছ খুবই উপকারী। সপ্তাহে একবার ইলিশ খাওয়া হার্টের জন্য ভালো।

এ ছাড়া এই মাছের অংশে রয়েছে পর্যাপ্ত মিনারেল। এই মাছ খেলে মস্তিষ্কের গঠন ভালো হয়। এই মাছ রক্তনালির স্বাস্থ্য রক্ষায় ভালো। রক্তে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে হাড়ের জন্য উপকারী। ক্যালসিয়াম, ফসফরাসের মতো উপাদান থাকায় বাত বা আর্থারাইটিস কম হয়। ডিপ্রেশন বা অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডারও কম হয়।তিনি বলেন, ইলিশের ভিটামিন এ চোখ ভালো রাখে। এ ছাড়া এই মাছ খেলে ত্বক ও চুল ভালো থাকে।

এই মাছে ক্ষতিকর কোনো উপাদান নেই। এই মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাডিস, যা রক্তজমাট বাঁধতে দেয় না ও রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে। দৈনিক ৫০–১০০ গ্রাম মাছ খেলে ভালো হয়।

ইলিশ ছাড়াও যে কোনো সামুদ্রিক ও তৈলাক্ত মাছ খেলে একই ফল পাওয়া যাবে। হবু মায়েরা ইলিশসহ অন্যান্য সামুদ্রিক মাছ খেতে পারেন। ফলে গর্ভস্থ শিশুর মস্তিষ্ক ও দৃষ্টিশক্তির বিকাশ হয়।

খুলনা গেজেট/কেএম

 




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!