খুলনা, বাংলাদেশ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  সাবেক আইজিপি মামুনের ফের ৩ দিনের রিমান্ড
  অ্যান্টিগা টেস্ট: তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ ২৬৯/৯, পিছিয়ে ১৮১ রানে

হার দিয়ে শুরু মুস্তাফিজের রাজস্থানের

ক্রীড়া ডেস্ক

সামনে ২২২ রানের বড় লক্ষ্য। সেটা তাড়া করতে নেমে প্রথম চার ওভারেই নেই দুই ওপেনার। এমন পরিস্থিতি থেকে ভেঙে পড়া খুব সম্ভবই ছিল রাজস্থান রয়্যালসের পক্ষে। তবে যে দলের নেতা সাঞ্জু স্যামসনের মতো একজন, দলকে যিনি নেতৃত্ব দেন সামনে থেকে, সে দলের কি আর ভেঙে পড়া সাজে? রাজস্থান ভেঙেও পড়েনি। পাঞ্জাবের ২২১ এর জবাবটাও দিচ্ছিল বুক চিতিয়েই। বিপত্তিটা বাঁধাল শেষ ওভারটা। রোমাঞ্চকর ওভারটা শেসে রাজস্থান থামল লক্ষ্য থেকে মাত্র চার রানের দূরত্বে। ফলে প্রথম ম্যাচে জয়টা ধরা দিতে দিতেও দিল না মুস্তাফিজের দল রাজস্থানকে।

অধিনায়কত্বের অভিষেকে আইপিএলে সর্বোচ্চ ছিল শ্রেয়াশ আইয়ারের ৯৮, সেঞ্চুরি ছিল না কারো। সে চূড়ায় সোমবার রাতে উঠে গেলেন সাঞ্জু। প্রথম আইপিএল অধিনায়ক হিসেবে অভিষেকেই পেলেন সেঞ্চুরি। তবে সে সেঞ্চুরির স্বাদটা কি ঠিক পেলেন সাঞ্জু?

তাকে এমন কীর্তির পথটা করে দিয়েছিলেন বোলাররা। অধিনায়ক সাঞ্জুর শুরুতে বোলিং করার সিদ্ধান্তকে ঠিক প্রমাণ করতে পারেননি কেউ। সবাই রান দিয়েছেন ওভারপ্রতি দশেরও বেশি করে, সে তালিকায় ছিলেন এক মৌসুম পর আইপিএলে ফেরা বাংলাদেশি মুস্তাফিজও। কোটার ৪ ওভার বল করে দিয়েছেন ৪৫, ছিলেন উইকেটহীন।

বোলারদের এমন বিবর্ণ দিনে তাদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছিলেন পাঞ্জাব ব্যাটসম্যানরা। ওপেনার গেইল অবশ্য খুব একটা প্রলয়নাচন তুলতে পারেননি এদিন মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে। আউট হয়েছেন ২৮ বলে ৪০ রান করে।

লোকেশ রাহুল অবশ্য ছিলেন স্বরূপে। সঙ্গী হিসেবে পান দীপক হুদাকে। এই জুটি থেকে আসে ১০৫ রান। রাহুলের ৯১ আর হুদার ৬৪ রানের ইনিংস ২২১ রানের পুঁজি এনে দেয় পাঞ্জাবকে।
জবাবে রাজস্থানও খুব একটা ভালো শুরু করতে পারেনি। বড় স্কোর তাড়া করতে বেন স্টোকসকে তুলে দেওয়া হয় ওপেনিংয়ে। কিন্তু তিনি ফেরেন রানের খাতা খোলার আগেই। এরপর মনন ভোহরাকেও দ্রুতই হারায় রাজস্থান।

২৫ রানে ২ উইকেট হারানোর পরই রাজস্থানের প্রতি আক্রমণের শুরু। স্যামসন তো ছিলেনই, সঙ্গে ছিলেন জস বাটলার। ইনিংসের অষ্টম ওভারে বাটলারকে হারালেও শিভম দুবে ও রিয়ান পরাগের দুটো ক্যামিও আর স্যামসন নিজে কক্ষপথেই রাখছিলেন রাজস্থানকে।

এমনকি শেষ দুই বলের আগেও জয়ের পথে দারুণভাবেই ছিল দলটি। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৩ রান। প্রথম বলে ডট, এরপরের দুই বলে দুই রান, এরপর স্যামসনের ছক্কা। তাতে শেষ দুই বলে রাজস্থানের দরকার ছিল ৫ রান। চতুর্থ বলে সিঙ্গেলের সুযোগ থাকলেও নেননি অধিনায়ক স্যামসন। শেষ বলে ছয়ের চেষ্টায় ধরা পড়েন বাউন্ডারি লাইনে।

ফলে সাঞ্জুর দারুণ এক লড়াই পরিণতি পায় করুণ এক হারে। তবে দারুণ ১১৯ রানের ইনিংসে ম্যাচসেরার পুরস্কারটা ঠিকই উঠেছে রাজস্থান অধিনায়কের হাতে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

পাঞ্জাব কিংস: ২০ ওভারে ২২১/৬ (রাহুল ৯১, গেইল ৪০, হুদা ৬৪; সাকারিয়া ৩১-৩, মরিস ৪১-২, পরাগ ৭-১)
রাজস্থান রয়্যালস: ২০ ওভারে ২১৭/৭ (স্যামসন ১১৯, বাটলার ২৫, দুবে ২৩, পারাগ ২৫; শামি ৩৩-২, আর্শদ্বীপ ৩৫-৩, মেরেডিথ ৪৯-১)
ফল: পাঞ্জাব কিংস ৪ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা: সাঞ্জু স্যামসন




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!