ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধা ও সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের আকস্মিক হামলায় ২২ ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। এছাড়া ইসরায়েলের বহু সেনাকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করেছে হামাসের সবচেয়ে চৌকস ইউনিট আল-কাসেম ব্রিগেড।
আল-কাসেম ব্রিগেড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। এতে তারা দাবি করেছে, জীবিত অবস্থায় ইসরায়েলি সেনাদের গাজায় ধরে এনেছে তারা।
শনিবার (৭ অক্টোবর) ভোরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অপারেশন ‘আল আকসা ফ্লাড’ নামে একটি অভিযান শুরু করে হামাস।
সশস্ত্র বাহিনীর এ যোদ্ধারা আকাশ, নৌ ও স্থলপথ দিয়ে ইসরায়েলের অবৈধ বসতিগুলোতে প্রবেশ করেন। এর আগে এদিন সকালে মাত্র ২০ মিনিটের ব্যবধানে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থান ও অবকাঠামো লক্ষ্য করে ৫ হাজার রকেট ছোড়ে তারা।
এসব রকেট ছোড়ার পরই পুরো ইসরায়েলজুড়ে সতর্কতামূলক সাইরেন বেজে ওঠে।
ইসরায়েলে হামলার কারণ জানিয়ে হামাস বলেছে, ‘দখলদার ইসরায়েলিদের সকল অপরাধ অবসানের সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। কোনো বিচার ছাড়া তাদের তাণ্ডব চালানোর সময় শেষ।’
হামাস আরও বলেছে, ‘আমরা অপারেশন আল-আকসা ফ্লাড ঘোষণা করেছি এবং হামলা চালিয়েছি। প্রথম হামলার ২০ মিনিটের মধ্যে আমরা ৫ হাজারের বেশি রকেট ছুড়েছি।’
হামাসের এই বিশাল অভিযান শুরুর পর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু কথা বলেছেন, তিনি জানিয়েছেন এখন ইসরায়েলে যুদ্ধ চলছে। শনিবার ইসরায়েলিদের উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমরা এখন যুদ্ধের মধ্যে আছি, কোনো অভিযান নয়, কোনো উস্কানি নয়, যুদ্ধ।’
‘আজ সকালে ইসরায়েল ও ইসরায়েলিদের বিরুদ্ধে মারাত্মক ও আকস্মিক হামলা চালিয়েছে হামাস। আমরা সকাল থেকে এ ধরনের পরিস্থিতিতে আছি। আমি নিরাপত্তা ব্যবস্থার সব প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেছি। প্রথমত যারা ইসরায়েলে অনুপ্রবেশ করেছে তাদের নির্মূলের নির্দেশ দিয়েছি— এ অপারেশন এ মুহূর্তে চলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ মুহূর্তে, আমি রিজার্ভ সেনাদের জড়ো করা এবং শক্তিশালী প্রতিশোধমূলক জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি, যা শত্রুরা কখনো কল্পনা করেনি।’
‘শত্রুরা এমন মূল্য দেবে যা তারা ভাবতেও পারেনি। সঙ্গে, আমি সাধারণ মানুষকে সেনাবাহিনীর নির্দেশনা কঠোরভাবে মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা এখন যুদ্ধে আছি এবং আমরা এ যুদ্ধে জয়ী হব।’
খুলনা গেজেট/ টিএ