ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড গাজায় সোমবার থেকে টানা বিমানহামলা চালিয়ে ২৮ জনকে হত্যা করেছে ইসরাইলি বাহিনী। এর পাল্টা জবাব হিসেবে ইসরাইলের অভ্যন্তরে শতাধিক রকেট হামলা চালিয়ে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।
ইসরাইলের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর তেল আবিবে একের পর এক রকেট হামলা চালিয়েছে হামাস। সেখানে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। শহরটিতে বেজেছে সাইরেন।
কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, রকেট হামলার ঘটনায় ইসরাইলের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বেন গুরিওন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বিমানবন্দরটি তেল আবিবের পাশেই অবস্থিত।
অ্যাসোসিয়েট প্রেসের (এপি) খবরে বলা হয়েছে, হামাসের কয়েক শতাধিক রকেট হামলায় ইসরাইলেরর দক্ষিণাঞ্চলের আশখেলন শহরে দুই নারী নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া অন্তত ১০ আহত হয়েছেন।
পাল্টা হামলার বিষয়ে হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসেম ব্রিগেডস বলেছে, গাজায় ইসরাইলের বিমান হামলায় ১২ তলা ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে। এ হামলার প্রতিশোধ নিতে তেল আবিবের দিকে ১৩০টি রকেট নিক্ষেপ করেছে তারা।
হামাসের রকেট হামলার পর মঙ্গলবারও অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বোমা হামলা চালায় ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। এতে কমপক্ষে ২৮ জন ফিলিস্তিনি মারা গেছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নিহত ২৮ ফিলিস্তিনির মধ্যে বেসামারিক নারী ও শিশু রয়েছে। হামলায় অন্তত ১২২ জন আহত হয়েছে।
গত সোমবার থেকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি দখলদার বাহিনী বিমান হামলা চালায়। সেই হামলা এখনও অব্যাহত রেখেছে তারা।
সোমবার সকালে একদল ইসরাইলি সেনা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আল-আকসায় ঢুকে পড়ে।এসময় ফিলিস্তিনিরা তাদের বাধা দিলে তাদের ওপর গুলিবর্ষণ করে ইসরাইলি বাহিনী। নামাজরত ফিলিস্তিনিদের ওপর রাবার বুলেট, টিয়ার গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এতে অনেকে আহত হন।
এর জবাবে সোমবার বিকালে গাজার হামাস অধ্যুষিত উপকূলবর্তী এলাকা থেকে ইসরাইলের দিকে রকেট হামলা চালানো হয়।
এরপর সন্ধ্যার দিকে ইসরাইলের বিমানবাহিনী গাজার উত্তরাঞ্চলে বিমান হামলা চালায়। এতে ৯ জন শিশুসহ ২৪ জন নিহত হয়। এ সময় বিভিন্ন স্থাপনাসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
খুলনা গেজেট/কেএম