ক্যারিবীয় দেশ হাইতির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে গত শনিবার সাত দশমিক দুই মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে প্রায় ১২ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে শিশুই পাঁচ লাখ ৪০ হাজার। ইউনিসেফের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ খবর জানিয়েছে।
সিএনএন জানিয়েছে, দেশটিতে গত শনিবার সাত দশমিক দুই মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে এক হাজার ৯৪১ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন প্রায় সাত হাজার মানুষ।
এদিকে, হাইতিতে গত সোমবার গ্রীষ্মকালীন ঝড় ‘গ্রেইস’ আঘাত হানার কারণে উদ্ধার তৎপরতা এবং চিকিৎসা ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। ভারী বর্ষণে ভূমিধসের কারণে বিভিন্ন স্থানে রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে।
রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে প্রায় ১২৫ কিলোমিটার (৮০ মাইল) পশ্চিমে গত শনিবারের ভূমিকম্পটি বেশ কিছু কিছু শহরকে প্রায় ধ্বংস করে দিয়েছে। করোনাভাইরাস মহামারি, দলীয় সহিংসতা, ক্রমবর্ধমান দারিদ্র্য এবং গত মাসে দেশটির প্রেসিডেন্টের হত্যার পর রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে নতুন করে আবার প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে পড়ল।
হাইতিতে নিযুক্ত ইউনিসেফের প্রতিনিধি ব্রুনো মেইস বলেছেন, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় তিনি প্রচণ্ড বাতাস এবং ভারী বৃষ্টিপাত হতে দেখেছেন।
ব্রুনো মেইস বলেন, ‘ভূমিকম্পের কারণে সবকিছু হারিয়েছে হাইতির অগণিত পরিবার। তারা এখন বন্যার কারণে আক্ষরিক অর্থে পানিবন্দি জীবনযাপন করছে।
খুলনা গেজেট/এনএম