বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলা বাতিলের আবেদনটিও শুনানির জন্য আপিল বিভাগের তালিকায় রয়েছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা খান ওরফে জুবাইদা রহমানের মামলার রুল উচ্চ আদালতে শুনানির জন্য উঠছে।
২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলের অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা দুটি রুল শুনানির জন্য হাইকোর্টের তালিকায় রাখা হয়েছে।
এছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলা বাতিলের আবেদনটিও শুনানির জন্য আপিল বিভাগের তালিকায় রয়েছে।
শনিবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইট ঘেঁটে দৈনন্দিন তালিকায় মামলাগুলো দেখা যায়।
শামীম এস্কান্দারের মামলা রোববার শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন এক নম্বর আপিল কোর্টের তালিকায় দুই নম্বরে রয়েছে। আর বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চের ৪১ ও ৪২ নম্বর তালিকায় রয়েছে তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানের মামলা।
ঘোষিত আয়ের বাইরে চার কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে রাজধানীর কাফরুল থানায় ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর এ মামলা করা হয়।
মামলায় তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান ও শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়।
একই বছর তারেক রহমান ও তার স্ত্রী পৃথক রিট আবেদন করেন। রিটে জরুরি আইন ও এ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা। হাইকোর্ট রুল জারি করে স্থগিতাদেশ দেয়।
রুল জারির ১৫ বছর পর দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯ এপ্রিল রিট মামলা হাইকোর্টের কার্য তালিকায় ওঠে। এরপর হাইকোর্ট রুল শুনানির জন্য ২০ এপ্রিল দিন ঠিক করেন। ওইদিন তারেক ও জোবাইদার পক্ষে সময় চেয়ে আবেদন করা হয়। পরে হাইকোর্ট শুনানির জন্য ২৯ মে দিন ঠিক করেন।
ওদিকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে শামীম এস্কান্দারের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৫ মে রাজধানীর রমনা থানায় মামলা করে দুদক। পরে শামীম এস্কান্দার মামলা বাতিলে হাইকোর্টে আবেদন করলেও তা খারিজ হয়ে যায়। পরে তিনি আপিল বিভাগে আবেদন করেন।
গত ১৭ এপ্রিল আপিল বিভাগ এ আবেদনের শুনানির জন্য ২৯ মে তারিখ নির্ধারণ করে।