নমুনা পরীক্ষা না করে কোভিড-১৯-এর ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরীনা আরিফ চৌধুরীর জামিন আবেদন উত্থাপন হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন ও কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। ডা. সাবরীনার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মামুন মাহবুব। সরকারের পক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুল ইসলাম।
এ বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘বিচারিক আদালতে মামলটি সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষে মোট ৪৩ সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। পরবর্তী সাক্ষ্যের জন্য আগামী ৬ জানুয়ারি দিন ধার্য রয়েছে। এই অবস্থায় হাইকোর্ট জামিন খারিজের আদেশ দিতে চাইলে আইনজীবী উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজের আদেশ দেওয়ার কথা বললে আদালত তা মঞ্জুর করেন।’
এর আগেও গত ৩ নভেম্বর জামিন চেয়ে করা আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি বলে খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।
নভেল করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা না করে ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে গত ২৩ জুন সাবরীনার স্বামী আরিফ চৌধুরীসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। এরপর গত ১২ জুলাই সাবরীনাকে তেজগাঁও বিভাগীয় উপপুলিশ (ডিসি) কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁকে করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে তেজগাঁও থানায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
ডা. সাবরীনার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা ও ইসির করা মামলাসহ কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেসব মামলায় তাদের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ডা. সাবরীনা কারাগারে আটক রয়েছেন। করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরীনা চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে গত ৫ আগস্ট অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা। পরের দিন ৬ আগস্ট এ মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
এ মামলায় ডা. সাবরীনা ও আরিফ চৌধুরী ছাড়া অপর ছয় আসামি হলেন শফিকুল ইসলাম রোমিও, জেবুন্নেসা, আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী ও বিপ্লব দাস। অভিযোগপত্রে ডা. সাবরীনা ও আরিফ চৌধুরীকে অসাধুচক্রের ‘মূলহোতা’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বাকিরা প্রতারণা ও জালিয়াতি করতে তাদের সহযোগিতা করেন বলে জানানো হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম