ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে মোবাইল ফোন কিনে না দেওযায় মেহেদী হাসান (১৭) নামে এক কিশোর বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন। বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে উপজেলার ভায়না ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মেহেদী ওই গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী আরাফাত আলীর ছেলে। সে জোড়াদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল বলে জানা গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, কয়েকদিন ধরেই মেহেদী তার বাবা-মায়ের কাছে একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন কিনতে ৫০ হাজার টাকার জন্য বায়না ধরে। কিন্তু মোবাইলে শিুশু-কিশোরদের নানা আসক্তি আর এতো বেশি টাকা মূল্যের ফোন কিনে দিতে অপারগতা প্রকাশ করেণ তার বাবা-মা। তারা ছেলেকে একটু কম দামের ফোন দিতে চাইলেও সে তা নিতে নারাজ। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মায়ের সাথে মেহেদীর ঝগড়া হয়। পরে রাত আটটার দিকে সে বিষপান করে। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
নিহত মেহেদীর মা মুসলিমা খাতুন বলেন, অবুঝ ছেলেটা বেশ কিছুদিন ধরেই ৫০ হাজার টাকার ফোনের জন্য বায়না ধরেছে। ওর বাবা দেশের বাইরে থাকে। করোনার কারণে এখন তারও আয়-রোজগার কমে গেছে। তাই ছেলেটাকে একটু কম দামের ফোন কিনে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সে তা নিতে নারাজ। এ নিয়ে বিকেলে আমার সাথে ওর একটু ঝগড়া হয়। পরে অভিমানী ছেলেটা আমার বিষপান করে।
হরিণাকুন্ডু থানার ওসি আব্দুর রহিম মোল্লা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম