ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে বিপ্লবী বাঘা যতীনের স্মৃতি রক্ষায় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। উপমহাদেশে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র ‘যুগান্তর’ দলের প্রধান বিপ্লবী বাঘা যতীনের (যতীন্ত্রনাথ মুখোপাধ্যায়) পৈতৃক বাড়ি উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের রিশখালী গ্রামে।
নবগঙ্গা নদীর তীরঘেঁষে ওই গ্রামের ছায়া সুনিবিড় পরিবেশে শৈশবে বাবা উমেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়, মা শরৎশশী ও বোন বিনোদ বালার স্নেহে বেড়ে ওঠেন এই বীর বাঙালি। জেলা শহরে একটি সড়কের নামকরণ ছাড়া তার স্মৃতি রক্ষার্থে উল্লেখ করার মতো আর কিছুই করা হয়নি তার নামে। ফলে এলাকার মানুষ ভুলে যেতে বসেছে বিপ্লবী বাঘা যতীনের নাম। সম্প্রতি এই অগ্নিপুরুষের পৈতৃক বসতভিটা ও তার স্মৃতি রক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ইতোমধ্যে প্রশাসনের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিক, সাংবাদিক, কবি-সাহিত্যিকসহ নানা শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে ‘বিপ্লবী বাঘা যতীন একাডেমি’। পৈতৃক ভিটা প্রাঙ্গণে তৈরি করা হয়েছে বিপ্লবী এই বীরের ম্যুরাল। ঘোষণা দেওয়া হয়েছে একাডেমিক ভবন নির্মাণসহ নানা উদ্যোগের।
মঙ্গলবার বিকেলে উপমহাদেশের এই বিপ্লবী বীরের পৈতৃক ভিটা প্রাঙ্গণে তার ম্যুরালের উদ্বোধন, বৃক্ষরোপণ ও স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব উদ্যোগের কথা জানান ‘বিপ্লবী বাঘা যতীন একাডেমির’ সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মজিবর রহমান। স্মৃতি রক্ষায় গঠিত ‘বিপ্লবী বাঘা যতীন একাডেমি’ নামে সংগঠন এসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
জেলা প্রশাসক মজিবর রহমান বলেন, উপমহাদেশের এই বিপ্লবী বীরের বীরত্বের ইতিহাসের সাথে নতুন প্রজন্মকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্যই তার স্মৃতি রক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দ্রুত এই অগ্নিপুরুষের পৈতৃক ভিটা প্রাঙ্গণে একাডেমিক ভবন নির্মাণ, গবেষণাগার, পাঠাগার, মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠাসহ তার স্মৃতি রক্ষার ব্যবস্থা করা হবে।
এ সময় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এসময় ইউএনও সৈয়দা নাফিস সুলতানা, এসিল্যান্ড সেলিম আহম্মেদ, হরিণাকুন্ডু পৌরসভার মেয়র ফারুক হোসেন, বিপ্লবী বাঘা যতীন একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সরোয়ার জাহান বাদশা, ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী, কবি ও সাহিত্যিক সুমন শিকদার প্রমূখ বক্তব্য দেন।
খুলনা গেজেট/এনএম