খুলনায় ইউসেপ ওয়াজেদ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত দু’যুবক আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। মঙ্গলবার ( ৬ জুলাই) দুপুরে খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলামের আদালতে এ জবানবন্দি প্রদান করে। পরে আদালত তাদের কারাগারে প্রেরণ করেন।
আসামিরা হলো, ইসলাম নগর এলাকার আজমিরার বাড়ির ভাড়াটিয়া রাজ আলীর ছেলে আবেদীন (১৯) ও একই এলাকার মালার বাড়ির ভাড়াটিয়া রায়হান গাজীর ছেলে রাইসুল (১৮)।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ মনিরুল ইসলাম (ওসি তদন্ত হরিণটানা থানা) জানান, ৪ জুলাই বিকেলে ভিকটিম ও তার বান্ধবী বৃষ্টিকে নিয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ঘুরতে যায়। ওই সময়ে তাদের দু’জনের সাথে ধর্ষণকারীদের পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাদের নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে নিয়ে যায়। সন্ধ্যার পর বৃষ্টি বাড়ি ফিরে এলেও ভিকটিম ফিরে আসেনি। রাত সোয়া ৯ টায় দুর্বৃত্তরা তাকে ময়ুর ব্রিজ সংলগ্ন উজান পুকুর আবাসিক প্রকল্প’র একটি প্লটে নিয়ে চারজন মিলে ভিকটিমকে ধর্ষণ করে। তাকে ফেলে দুর্বৃত্তরা ঘটনস্থল ত্যাগ করে। বিষয়টি পরিবারকে জানালে ওইদিন রাতে তার বাবা থানায় বাদী হয়ে চারজনের নামে মামলা মামলা দায়ের করে।
পুলিশ উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে সোমবার রাইসুলকে পাইকগাছা ও আবেদীনকে ফুলতলা থেকে গ্রেপ্তার করে। মামলার এজাহারভুক্ত অপর আসামি মেহেদী হাসান ফয়সালকে ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে ঘটনার বিবরণ পুলিশকে জানিয়েছে এবং আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজী হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
হরিণটানা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনমুল হক জানান, ধর্ষণকারীরা বখাটে যুবক। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় তারা আড্ডা দেয়। ঘটনার দিন ভিকটিমের সাথে তাদের পরিচয় হয়। পরিচিত হওয়ার সুবাদে সে ঘুরতে যায় এবং তাকে ওই দিন যুবকেরা ধর্ষণ করে। মামলার এক আসামি পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে।
খুলনা গেজেট/এস এইচ/ টি আই/ এমএইচবি