চলতি বছরের শেষ ‘ইত্যাদি’ ধারণ করা হয়েছে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া চা বাগানের অভ্যন্তরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহাসিক ডাকবাংলোর সামনে। গত ১১ ডিসেম্বর স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত সংখ্যক দর্শক নিয়ে সুশৃঙ্খলভাবে ধারণ করা হয় এবারের ইত্যাদি। দর্শকপ্রিয় এই অনুষ্ঠান এবার ৩৩ বছর শেষে ৩৪ বছরে পা দেবে।
এবারের অনুষ্ঠানে গান রয়েছে দুটি। মহান বিজয় আনতে বাংলাদেশের লাখো সন্তান দিয়ে গেছে প্রাণ, তাদের স্মরণে মোহাম্মদ রফিকউজ্জামানের লেখা ও ইবরার টিপুর সুরে একটি দেশাত্মবোধক গান গেয়েছেন ফাহমিদা নবী ও সামিনা চৌধুরী।
হবিগঞ্জের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানের পরিচিতিমূলক আর একটি গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেছে স্থানীয় শতাধিক নৃত্যশিল্পী। গানটির কথা লিখেছেন মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান, সংগীতায়োজন করেছেন নাভেদ পারভেজ। কণ্ঠ দিয়েছেন রিয়াদ ও তানজিনা রুমা। নৃত্য পরিচালনায় মনিরুল ইসলাম মুকুল।
এছাড়া আরও নানা আয়োজন এবং প্রতিবেদনের পাশাপাশি রয়েছে দর্শকপর্ব। নিয়ম অনুযায়ী এই পর্বের ধারণস্থান হবিগঞ্জকে নিয়ে করা প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে উপস্থিত দর্শকের মাঝখান থেকে ৪ জন দর্শক নির্বাচন করা হয়। ২য় পর্ব সাজানো হয়েছে হবিগঞ্জের চারজন বিখ্যাত কবি ও সাধকের কিছু কালজয়ী গান নিয়ে। নির্বাচিত দর্শকদের সঙ্গে এই পর্বে অংশগ্রহণ করেছেন সিলেটের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী সেলিম চৌধুরী ও আশিক চৌধুরী।
ইত্যাদির এই পর্বটি একযোগে বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে প্রচারিত হবে আগামী ৩১ ডিসেম্বর (শুক্রবার) রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর। ইত্যাদির রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনায় হানিফ সংকেত। নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন।
খুলনা গেজেট/ এস আই