হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় দুই বাস ও একটি ট্রাকের ত্রিমুখী সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২০ জন। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
শুক্রবার (১১ মার্চ) রাত ১০টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে শায়েস্তাগঞ্জের উলুকান্দি এলাকায় হাইওয়ে থানার সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
হবিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ডিএডি জাহাঙ্গীর আলম ঘটনাস্থলে দুজন মারা যাওয়ার তথ্য জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
সদর আধুনিক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওমর ফারুক জানান, হাসপাতালে তারা আরও দুজনের মরদেহ পেয়েছেন। আহত অবস্থায় ভর্তি হয়েছেন ১১ জন। আহতদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় দেব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রাত ১০টার দিকে আশিক পরিবহন ও শ্যামলী পরিবহনের বাস এবং একটি ট্রাকের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়।
জানা যায়, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে মহাসড়কের উলুকান্দি এলাকায় হাইওয়ে পুলিশ একটি মালবোঝাই ট্রাককে ধাওয়া করে। ট্রাকটি দ্রুতগতিতে পালিয়ে যাওয়ার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। তখন পেছন দিক থেকে আসা আরেকটি বাস দুর্ঘটনাকবলিত বাসটিকে ধাক্কা দেয়।
এদিকে দুর্ঘটনার পরপরই উত্তেজিত জনতা সড়ক অবরোধ করে রাখে। স্থানীয় জনগণসহ সিএনজি শ্রমিকদের দাবি, হাইওয়ে পুলিশের ধাওয়ার কারণে ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
খবর পেয়ে হবিগঞ্জ ও শায়েস্তাগঞ্জসহ বিভিন্ন উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুর্ঘটনাকবলিত দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া বাসগুলোর ভেতর থেকে আহতদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠায়। আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। প্রাণে বাঁচলেও অনেকের পঙ্গু হয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। আহত অনেককে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা ও সিলেটে পাঠানা হয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে হাইওয়ে পুলিশ ট্রাক ও সিএনজি অটোরিকশা ধাওয়া করে। এতে প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনা ঘটছে। প্রতিবাদ করলে বিভিন্ন মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়।
দুর্ঘটনার পর হবিগঞ্জ, চুনারুঘাট ও শায়েস্তাগঞ্জ থানার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে।
খুলনা গেজেট/ টি আই