ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে নিখোঁজের ২ মাস ৯ দিন পর সয়ফল হোসেন (৪০) নামে এক কৃষকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার রাত ৯টার দিকে কুষ্টিয়ার ইবি থানার বৈদ্যনাথপুর গ্রামের মহাশ্মশান এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। সেখানে মাটিচাপা দিয়ে মরদেহটি লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। তিনি হরিণাকুণ্ডুর তৈলটুপি গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।
এ ঘটনায় পুলিশ ইবি থানার আস্তানগর গ্রামের মনিরুল ইসলাম ও মজনু নামে দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। এ সময় মনিরুলের কাছ থেকে নিহতের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ নালের ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় সয়ফল হোসেন বাড়ি থেকে বের হয়ে পাশের ইবি থানার ঝাউদিয়া বাজারে যান। পরে তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। এর দুই দিন পর ১৭ নভেম্বর তার ভাই নয়ফল হোসেন থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন।
নিহতের স্বজন শিমুল হোসেন জানান, ওইদিন সন্ধ্যায় সয়ফল বাড়ি থেকে বের হন। পরে আর ফিরে আসেননি। তবে কারও সঙ্গে তার কোনো শত্রুতা ছিল না।
হরিণাকুণ্ডু থানার ওসি মো. জিয়াউর রহমান জানান, তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারসহ নানা উপায়ে সয়ফলকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করে পুলিশ। বুধবার তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়। এরই সূত্র ধরে ওই এলাকার শ্মশান থেকে মাটিচাপা দেওয়া অবস্থায় তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড এবং কারা এর সঙ্গে জড়িত তা এখনই বলা যাচ্ছে না। দুইজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তদন্ত শেষে হত্যার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
খুলনা গেজেট/ টিএ