মধুমতি ব্যাংক লিমিটেডকে বাদ দেওয়া হয়েছে হজের অর্থ সংগ্রহ কার্যক্রম থেকে। একই সঙ্গে সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ এক বছরের জন্য নবায়ন করা হয়েছে।
ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক চিঠি থেকে জানা গেছে এ তথ্য।
এতে বলা হয়, হজ কার্যক্রমে সরকারি ও বেসরকারি উভয় ব্যবস্থাপনার প্রাক-নিবন্ধন বাবদ অর্থ গ্রহণের জন্য ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের মধ্যে সর্বশেষ সম্পাদিত চুক্তির মেয়াদ আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি উত্তীর্ণ হবে বলে পরবর্তী এক বছর অর্থাৎ আগামী বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সব শর্ত অপরিবর্তিত রেখে নবায়ন করা হলো।
‘চুক্তি মোতাবেক যেসব ব্যাংক হজে গমনেচ্ছু ব্যক্তিদের প্রাক-নিবন্ধন ফি বাবদ সংগ্রহ করা অর্থ গত ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সোনালী ব্যাংকে স্থানান্তর করেছে সেসব ব্যাংকের সঙ্গে পরবর্তী এক বছর মেয়াদে লিড ব্যাংক হিসেবে চুক্তি করার অনুরোধ করা হলো এবং মধুমতি ব্যাংক লিমিটেডকে হজ কার্যক্রমের অর্থ সংগ্রহের কার্যক্রম থেকে বাদ দেওয়া হলো।’
এছাড়া যেসব ব্যাংক এখনো চুক্তি মোতাবেক সমুদয় অর্থ স্থানান্তর করেনি, তাদের তথ্য জরুরিভিত্তিতে অবহিত করারও অনুরোধ জানিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৮ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। চলতি বছর হজ পালনে গত ৯ জানুয়ারি সৌদি আরবের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক হজচুক্তি করেছে বাংলাদেশ। সম্পাদিত হজচুক্তি অনুযায়ী করোনা-উত্তর পরিস্থিতিতে এ বছর বাংলাদেশের কোটার পূর্ণ সংখ্যক হজযাত্রী হজে গমন করতে পারবেন। এ বছর সর্বমোট এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রী বাংলাদেশ হতে হজে যেতে পারবেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রী পবিত্র হজ পালন করতে পারবেন।
খুলনা গেজেট/ বি এম এস