সাম্প্রতিক সময়ে হকিতে বাংলাদেশের বড় প্রতিপক্ষ ওমান। কখনো বাংলাদেশ জিতে, আবার কখনো ওমান। চার বছর পর আবার সেই ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় ওমানের মুখোমুখি হয়েছিল জিমি-সারওয়াররা। আজকের ম্যাচটি ছিল অবশ্য গ্রুপ সেরা হওয়ার। সেই ম্যাচে খোরশেদের হ্যাটট্রিকে বাংলাদেশ ৩-২ গোলে ওমানকে হারিয়ে বি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। সেমিফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ এ গ্রুপের রানার্স আপ কাজাখস্তান।
পেণ্ডুলামের মতো দুলছিল ম্যাচের ভাগ্য। তৃতীয় কোয়ার্টার পর্যন্ত স্কোরলাইন ১-১। ম্যাচের সকল চিত্রনাট্য অপেক্ষা করছিল যেন চতুর্থ কোয়ার্টারে। ৪৮ মিনিটে ওমানের আল ফাহাদ ফিল্ড গোল করে ২-১ স্কোরলাইন করে। আট মিনিট পর বাংলাদেশ পেনাল্টি কর্নার পায়। সেই পেনাল্টি কর্নার থেকে খোরশেদ ম্যাচে সমতা আনেন।
২-২ স্কোরলাইনে খেলা শেষ হলে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় ওমান বি গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতো। বাংলাদেশকে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে হলে জয়ের বিকল্প ছিল না। ম্যাচের সময় বাকি মাত্র চার মিনিট। সমতা আনার পর বাংলাদেশ ওমানের বিপক্ষে আরেকটু চড়াও হয়। ৫৮ মিনিটে আরেকটি পেনাল্টি কর্নার আদায় করে। সেই পেনাল্টি কর্নার থেকে পেনাল্টি স্ট্রোক পায় সারওয়াররা।
আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে কিছুক্ষণ প্রতিবাদও করেছিল ওমানীজরা। আম্পায়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে সহকারীর সঙ্গে পর্যালোচনাও করে নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকেন। খোরশেদ ঠান্ডা মাথায় সজোরের স্ট্রোক নিয়ে গোল করেন। ৫৮ মিনিটে বাংলাদেশ ৩-২ গোলের লীড পায়। হকিতে এক মিনিটে দুই গোলের সম্ভাবনা থাকে। বাংলাদেশ শেষ দুই মিনিট বেশ সতর্কতার সাথে শেষ করে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।
ওমানের বিপক্ষে বাংলাদেশ ম্যাচের চার মিনিটে খোরশেদের গোলেই লীড নিয়েছিল। পেনাল্টি কর্নার থেকে খোরশেদ বাংলাদেশকে এগিয়ে দেন। বাংলাদেশ এই লীড দুই কোয়ার্টার পর্যন্ত ধরে রাখে। তৃতীয় কোয়ার্টারের দ্বিতীয় মিনিটে আল রাশাদের ফিল্ড গোলে ম্যাচে সমতা আনে। ওমানের দু’টি গোলই ফিল্ড আর বাংলাদেশের তিনটির মধ্যে দু’টি পেনাল্টি কর্নার ও একটি স্ট্রোক।
খুলনা গেজেট/কেএ