সড়ক দুর্ঘটনায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারাণ সম্পাদক অমিত কুমার দাসের মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
নিহত অমিত কুমার দাসের বাড়ি ফরিদপুর জেলার সদর উপজেলার অম্বিকাপড় গ্রামে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ক্যাম্পাসে ভর্তির পরেই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন। পরে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হন।
জানা যায়, মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঢাকা থেকে কুমিল্লা যাওয়ার পথে মহাসড়কের আমতলী নামকস্থানে একটি ট্রাককে সাইড দিতে মাইলপোস্টে ধাক্কা লেগে অমিত কুমার দাসকে বহনকারী প্রাইভেটকারটি উল্টে যায়। এতে গাড়িতে থাকা চালকসহ পাঁচজনই আহত হন। পরে ঢাকা ফিরে চিকিৎসা শেষে বাসায় ফেরেন অমিতসহ অন্যরা। বুধবার সকালে ফের গুরুতর অসুস্থ হয়ে বমি শুরু করেন অমিত। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সকাল ১০টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তার মৃত্যুতে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের ফেসবুকে পোস্টে শোক জানাতে দেখা গেছে। এছাড়া বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শোক জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ এবং ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগ।
অমিত কুমার দাসের ভাইপো ও ইবির ইংরেজি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী কমল কৃষ্ণ অধিকারী বলেন, চাচার শরীরে যে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে তাতে মনে হচ্ছে এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। চাচার মাথা, কোমর এবং পায়ের গোড়ালিতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ক্রিকেট স্ট্যাম্প বা ভারী কোনো কিছুর আঘাতের চিহ্ন বলে মনে হচ্ছে।
খুলনা গেজেট/এনএম