প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার উদ্বুদ্ধ হয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রেখে ঐক্যবদ্ধভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহবান জানিয়েছেন।
বুধবার (২১ অক্টোবর) হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে তিনি এ আহবান জানান এবং এ উপলক্ষে দেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বী সকল নাগরিককে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। একইভাবে হিন্দু ধর্মাবলম্বীসহ সকল নাগরিকের শান্তি কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
দেশে করোনা আবহাওয়ার মধ্যদিয়ে বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হচ্ছে সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের পাঁচ দিনের দূর্গাপুজা। প্রধানমন্ত্রী এই মহামারীতে তিনি সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপনের আহবান জানান।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাস সমগ্র বিশ্বকে স্থবির করে দিয়েছে। সরকার এ সংকটময় পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে। ‘আমরা জনগণকে সকল সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছি। এসময় সকলকে অসীম ধৈর্য নিয়ে সহনশীল ও সহানুভূতিশীল মনে একে অপরকে সাহায্য করে যেতে হবে।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্গাপূজা শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসবই নয়, এটি এখন সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। অশুভ শক্তির বিনাশ এবং সত্য ও সুন্দরের আরাধনা শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রধান বৈশিষ্ট্য।
তিনি বলেন, ‘আবহমানকাল ধরে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’-এ মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে বাংলাদেশে আমরা সব ধর্মীয় উৎসব একসঙ্গে পালন করে থাকি। আমাদের সংবিধানে সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমান অধিকার সুনিশ্চিত করা হয়েছে।’
সকলে মিলে মুক্তিযুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই দেশ আমাদের সকলের। বাংলাদেশ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের নিরাপদ আবাসভূমি। বর্তমান সরকার জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোষ্ঠী নির্বিশেষে সবার উন্নয়ন করে যাচ্ছে। সূত্র : বাসস
খুলনা গেজেট / এমএম