স্বাস্থ্যবিধি না মানলেও খুলনায় ইজিবাইক ভাড়ায় অসংগতি রয়েই গেছে। একই গন্তব্যে কেউ রাখছেন ন্যায্য ভাড়া, আবার কেউ দ্বিগুণ। ফলে যাত্রী ভোগান্তি কমেনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নগরীর অধিকাংশ গন্তব্যেই ইজিবাইক ভাড়ার অসংগতি রয়েছে। করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মানতে প্রশাসনিক নির্দেশনা অনুযায়ী যাত্রী কম নেওয়ার অজুহাতে বৃদ্ধি পায় এই ভাড়া। অথচ বর্তমানে সে নির্দেশনা না মানলেও যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় অব্যাহত রেখেছে অধিকাংশ ইজিবাইক চালক।
যাত্রীরা অভিযোগ করেন, নগরীর বয়রা থেকে গল্লামারি ভাড়া ১০ টাকা, যা বর্তমানে ১৫ থেকে ২০ টাকা, গল্লামারি থেকে ময়লাপোতা ৫ টাকার ভাড়া ১০ টাকা, সোনাডাঙ্গা থেকে ময়লাপোতা ১০ টাকার ভাড়া ১৫ টাকা এবং ময়লাপোতা থেকে রূপসা ১০ টাকার পরিবর্তে ২০ টাকাসহ প্রতিটি গন্তব্যেই ৫/১০ টাকা এমনকি দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করছেন ইজিবাইক চালকরা।
এ বিষয়ে খুলনা মহানগর ইজিবাইক মালিক ও চালক সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মশিউর রহমান মিলন বলেন, “কিছু অসৎ ও অস্থায়ী অটো চালক এমন অমানবিক কাজ করছে। মূলত: করোনার কারণে বিধি নিষেধের শুরুর রেশটা তারা এখনও ধরে রাখতে চাচ্ছে, যা একদমই অনুচিত।” এছাড়াও তিনি ইজিবাইক চালকদের এমন কাজে ক্ষোভ প্রকাশ ও ধিক্কার জানান। সেইসাথে বিরত থাকার অনুরোধও জানান।
অধিক ভাড়া আদায়কারী এক অটো চালক বলেন, “ভাই ভাড়া একবার বাড়লে আর কমে নাকি।” তবে যাত্রী রুহুল কবিরের মতে, “আমরা যদি ইজিবাইকে ওঠার আগে ভাড়া ঠিক করে উঠি, তাহলে এমন ভোগান্তির স্বীকার হতে হয় না।”
যদিও নিজেদের মধ্যে একতার অভাবকে এই অসংগতির জন্য দায়ী মনে করেন একতা ইজিবাইক শ্রমিক কল্যাণ সমবায় সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস।
খুলনা গেজেট / এমএম