১০ বছর আগে বিয়ে করে সঙ্গীকে তালাক না দিয়ে বিয়ে করায় সেটি অবৈধ হয়েছে- এমন অভিযোগ করে চিত্রনায়িকা পরীমনি ও অভিনেতা শরিফুল রাজকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন কুমিল্লার এক আইনজীবী।
আগামী সাত কর্মদিবসে নোটিশের জবাব না এলে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলা হয়েছে। আগের স্বামীকে তালাক না দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েই নোটিশ করা হয়েছে জানিয়ে যদি নথিপত্র থাকে, তাহলে সেটা যেন প্রকাশ্যে আনা হয়।
কুমিল্লা জজ কোর্টের আইনজীবী জয়নাল আবেদীন মাযহারী মঙ্গলবার(১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে পরীমনি ও রাজকে পাঠানো নোটিশের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এ নোটিশের বিষয়ে রাজের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তারা এখনও কোনো উকিল নোটিশ পাননি।
পরীমনির কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, ফেরদৌস কবির সৌরভ নামে কাউকে চেনেন না।
নোটিশদাতার দাবি, ২০১২ সালের ৪ এপ্রিল নায়িকা পরীমনি যশোরের কেশবপুর এলাকার যুবক ফেরদৌস কবির সৌরভকে বিয়ে করেন। এক লাখ টাকা কাবিনে বিয়েটি নিবন্ধন হয় কেশবপুর শহরের অফিসপাড়ার পাবলিক ময়দান এলাকার ফাতেমা মঞ্জিলে পৌরসভার কাজী এম ইমরানের হোসেনের মাধ্যমে।
ফেরদৌসকে তালাক না দিয়েই পরীমনি গত ১৭ অক্টোবর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার শরীফুল রাজকে বিয়ে করে তিনি আইন লঙ্ঘন করেছেন- এমন অভিযোগও আনা হয় নোটিশে।
গত ১ জানুয়ারি বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা হয় পরীমনি ও রাজের। যেখানে ১০১ টাকায় কাবিন করা হয়।
আইনজীবী জয়নাল আবেদীন মাযহারী বলেন, ‘আমি রাজ ও পরীমনি দুজনকেই আইনি নোটিশ পাঠাইছি। আমি জানতে চেয়েছি, পরীমনি তার আগের বিয়েতে ডিভোর্স না দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। এ ছাড়া যখন সন্তানসম্ভবা, তখন দ্বিতীয় বিয়ের কথা মিডিয়াতে প্রচার করেছেন। আমি নিশ্চিত হয়েছি, তার প্রথম বিয়ের ডিভোর্স হয়নি। সুতরাং দ্বিতীয় বিয়েরও বৈধতা নেই।’
সন্তানসম্ভবা হয়ে বিয়ে করে পরীমনি মুসলিম রীতিনীতি ভঙ্গ করেছেন বলেও অভিযোগ করেন নোটিশদাতা আইনজীবী।
তিনি বলেন, ‘নোটিশে বলেছি, যদি তাদের (পরীমনি ও রাজ) কাছে তাদের পক্ষে বৈধ কাগজপত্র থাকে তাহলে তা জনসম্মুখে আনতে। যদি না হয়, আগামী সাত কর্মদিবসে যদি নোটিশের জবাব না পাই, তাহলে আমি আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করব।’
খুলনা গেজেট/ এস আই