খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, একুশ আমাদের চেতনার বহ্নিশিখা। স্বাধীনতার মূল উৎস ও চেতনা ছিলো একুশ। একুশের উৎস থেকে জেগেছিল গণতান্ত্রিক ও ন্যায়ভিত্তিক আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার স্বপ্ন। স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। বঙ্গবন্ধুই বাংলা ভাষাকে প্রথম রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দান করেন। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন, বাংলা ভাষা পৃথিবীর অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ভাষা হোক। বাংলা ভাষায় সংবিধান প্রণয়ন করেন বঙ্গবন্ধু। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে প্রথম বাংলায় বক্তব্য দিয়ে বিশ্বসভায় বাংলাকে তুলে ধরেন। একুশে ফেব্রুয়ারি আজ দেশের গন্ডি পেরিয়ে সারা বিশ্বে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে।
মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৭টায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে প্রভাত ফেরি শেষে দলীয় কার্যালয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। আর উন্নতির এই সোপানে এগিয়ে যেতে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ যেমন প্রেরণা জোগায়, ঠিক একইভাবে প্রেরণা দেয় আমাদের ভাষা। কারণ আমরাই সেই জাতি, যারা ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছি। তবে এখন ভাষার এবং বাঙালী সংস্কৃতির উপর চলছে নিরব ষড়যন্ত্র। আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতির বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্র করবে তাদের শক্তভাবে প্রতিহত করতে হবে।
এসময়ে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, সহ-সভাপতি এ্যাড. আইয়ুব আলী শেখ, সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যা. আলমগীর কবির, সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম। মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগের পরিচালনায় এসময়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা জামাল উদ্দিন বাচ্চু, শেখ মো. ফারুক আহমেদ, আবুল কালাম আজাদ কামাল, এ্যাড. খন্দকার মজিবর, মো. শাহজাদা, কাউন্সিলর জেড এ মাহমুদ ডন, এ্যাড. অলোকা নন্দা দাস, হালিমা রহমান, শেখ ফারুক হাসান হিটলু, শেখ মো. জাহাঙ্গীর আলম, কামরুল ইসলাম বাবলু, হাফেজ মো. শামীম, মো. মফিদুল ইসলাম টুটুল, অধ্যা. রুনু ইকবাল বিথার, তসলিম আহমেদ আশা, এস এম আকিল উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মোতালেব মিয়া, এ্যাড. সুলতানার রহমান শিল্পী, এ্যাড. এ কে এম শাহজাহান কচি, মো. সফিকুর রহমান পলাশ, শেখ আবু হানিফ, চৌধুরী রায়হান ফরিদ, অধ্যা. এ বি এম আদেল মুকুল, এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল, এম এম আজিজুর রহমান রাসেল, এ্যাড. শামীম আহমেদ পলাশ, শেখ নজিবুল ইসলাম নজিব, কাউন্সিলর রেকসোনা কালাম লিলি, মো. আমির হোসেন, এ্যাড. এনামুল হক, শবনম সাবা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্সি আইয়ুব আলী, আব্দুল হাই পলাশ, মো. আতাউর রহমান শিকদার রাজু, এ্যাড. শামীম মোশাররফ, মো. আজম খান, মুন্সি মো. সেলিম হোসেন, মো. আজম খান, মো. শিহাব উদ্দিন, নূরিনা রহমান বিউটি, নূর জাহান রুমি, মুন্সি নাহিদুজ্জামান, এ্যাড. রাবেয়া ওয়ালী করবী, আইরিন চৌধুরী নীপা, আফরোজা জেসমিন বিথী, নাছরিন ইসলাম তন্দ্রা, নাছরিন আক্তার, কবির পাঠান, মো. আলী আকবর মাতুব্বর, তোতা মিয়া ব্যাপারী, কামরুল ইসলাম, অভিজিৎ চক্রবর্তী দেবু, মো. জিলহজ্ব হাওলাদার, রেখা খানম, জিলহজ্ব হাওলাদার, মো. শহীদুল হাসান, মো. আমিরুল ইসলাম বাবু, জব্বার আলী হীরা, মাহমুদুর রহমান রাজেসসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
আলোচনা সভার শুরুতেই সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দাড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
এর আগে সকাল ৭ টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত করণ, কালো পতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাজ ধারন করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয়। সকাল সাড়ে ৭টায় দলীয় কার্যালয় হতে প্রভাত ফেরি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে শহীদ হাদিস পার্কে শ্রদ্ধা নিবেদন করে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে শেষ করা হয়।