খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ তার বক্তব্যে বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ১৭ এপ্রিল এক অবিস্মরণীয় দিন। সেদিন ‘মুজিবনগর সরকার’খ্যাত বিপ্লবী সরকারের শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে মূলত মুক্তিযুদ্ধ প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়। ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এ সরকার অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশ্ব জনমত গঠনসহ রাজনৈতিক-কূটনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং ভারতে আশ্রয় নেওয়া প্রায় ১ কোটি শরণার্থীর পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনা করে। মুক্তিযুদ্ধের সফল পরিণতিও ঘটে এ সরকারের দক্ষ পরিচালনায়। তাঁদের নেতৃত্বেই একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতি ৩০ লাখ শহীদের রক্ত ও দু’লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে হাজার বছরের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা লাভ করে। বাঙালির নিজস্ব আবাসভূমি হিসেবে স্বাধীন সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ বিশ্ব মানচিত্রে স্থান করে নেয়।
সোমবার (১৭ এপ্রিল) বিকেল ৪ টায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত অধিকারী সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতা এড. রবীন্দ্রনাথ মন্ডল, বিএমএ সালাম, মোঃ কামরুজ্জামান জামাল, সরদার আবু সালেহ, এড. নবকুমার চক্রবর্তী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোকলেছুর রহমান বাবলু, হালিমা ইসলাম, কাজী শামীম আহসান, মোল্লা মোজ্জাফর হোসেন, মোঃ খায়রুল আলম, অসিত বরন বিশ্বাস, জামিল খান, শেখ মোঃ আবু হানিফ, আজিজুর রহমান রাসেল, সরদার জাকির হোসেন, মোঃ ইমরান হোসেন, আল- আমিন এহসান ইমু, দ্বীপ পান্ডে বিশ্ব, মৃনাল কান্তি বাছাড়, তানভীর রহমান আকাশ, চিশতী নাজমুল বাশার, মোঃ রাসেল, আবিদ হাসান, ইসমাইল মৃধা ইমন প্রমুখ।
এছাড়া সকাল ৭টয়া দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন; সকাল সাড়ে ৭টায় দলীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
খুলনা গেজেট/কেডি