প্রতিপক্ষের ওপর চাপ ধরে রেখে ভালো কিছু সুযোগ তৈরি করলেও কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পেল না স্পেন। সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হতবাক করে পার্থক্য গড়ে দিলেন ভিক্তর তিশানকভ। অসাধারণ এক জয়ের আনন্দে মাঠ ছাড়ল আন্দ্রে শেভচেঙ্কোর দল।
কিয়েভে মঙ্গলবার রাতে উয়েফা নেশন্স লিগে ‘এ’ লিগের ৪ নম্বর গ্রুপের ম্যাচটি ১-০ গোলে জিতেছে স্বাগতিকরা। শেষ দিকে ইউক্রেনের জয়সূচক গোলটি করেন তিশানকভ।
ম্যাচে ৭০ শতাংশের বেশি সময় বল দখলে রেখে গোলের উদ্দেশে মোট ২১টি শট নেয় স্পেন, এর আটটিই ছিল লক্ষ্যে। বিপরীতে পুরো ম্যাচে ইউক্রেনের নেওয়া দুটি শটের একটি ছিল লক্ষ্যে এবং সেটাতেই ৩ পয়েন্ট নিশ্চিত।
দুই জয় ও এক ড্রয়ের পর আসরে প্রথম হারের স্বাদ পেল সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ইউক্রেনের এটি দ্বিতীয় জয়।আসরে প্রথম দেখায় গত মাসে ঘরের মাঠে ইউক্রেনকে ৪-০ গোলে হারিয়েছিল স্প্যানিশরা।
ম্যাচের শুরু থেকেই চাপ বাড়ানো স্পেন প্রথম ১৫ মিনিটে ভালো দুটি সুযোগ পায়। তবে তাদের দুটি প্রচেষ্টায় রুখে দেন হিয়োর্হি বুশচিন। দ্বাদশ মিনিটে রদ্রিগো মরেনোর হেড ক্রসবারের ওপর দিয়ে পাঠিয়ে দেওয়ার তিন মিনিট পর অরক্ষিত আনসু ফাতির জোরালো শটও কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান ইউক্রেন গোলরক্ষক।
২১তম মিনিটে আবারও স্পেনকে হতাশ করেন বুশচিন। সের্হিও রামোসের দারুণ ফ্রি-কিক ক্রসবার ঘেঁষে জালে জড়াতে যাচ্ছিল। ঝাঁপিয়ে এক হাত দিয়ে ঠেকান দিনামো কিয়েভের এই গোলরক্ষক।
দ্বিতীয়ার্ধের তৃতীয় মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ হারায় ইউক্রেন। সামনে একমাত্র বাধ ছিল গোলরক্ষক; কিন্তু ছয় গজ বক্সের বাইরে থেকে ঠিকমতো শট নিতেই পারলেন না ফরোয়ার্ড অলেকসান্দার জুবকভ। ৬৩তম মিনিটে রদ্রির শট পোস্টের নিচের দিকে লেগে বাইরে গেলে হতাশা বাড়ে স্পেনের।
খেলার ধারার বিপরীতে ৭৬তম মিনিটে দারুণ এক পাল্টা আক্রমণে এগিয়ে যায় ইউক্রেন। বুশচিনের গোল কিকে মাঝমাঠে বল ধরে সামনে পাস বাড়ান ইয়ারমোলেঙ্কো। দারুণ ক্ষিপ্রতায় এগিয়ে প্রথম ছোঁয়ায় বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের শটে ঠিকানা খুঁজে নেন মিডফিল্ডার তিশানকভ।
চার ম্যাচে দুই জয় ও এক হারে ৭ পয়েন্ট নিয়ে এখনও শীর্ষে আছে স্পেন। দিনের আরেক ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে ৩-৩ ড্র করা জার্মানি ৬ পয়েন্ট নিয়ে আছে দুই নম্বরে। সমান পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে ইউক্রেন। সুইজারল্যান্ডের পয়েন্ট ২।
খুলনা গেজেট/এএমআর