ব্যাট হাতে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। বল হাতে আটটি ওয়াইড ও চারটি নো বল দিয়েছে। বাংলাদেশ টি-২০ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান মনে করছেন, ওই খানেই ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ। স্পিনারদের নো বল করা ক্রাইম বলে উল্লেখ করেছেন দেশ সেরা ক্রিকেটার।
ম্যাচ শেষে সাকিব বলেন, ‘কোন অধিনায়ক ম্যাচে নো বল চান না এবং একজন স্পিনারের নো বল করা ক্রাইম। আমরা ম্যাচে অনেক ওয়াইড ও নো বল করেছি, এটা কোনভাবেই নিয়ন্ত্রিত বোলিং নয়। আমাদের জন্য এটা চাপের ম্যাচ ছিল এবং এই ম্যাচ থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে।’
লঙ্কান ওপেনার কুশল মেন্ডিস ম্যাচে তিনটি জীবন পেয়েছেন। এর মধ্যে শেখ মাহেদির বলে আউট হয়েও নো বলের কারণে বেঁচে যান তিনি। ম্যাচের ১৯তম ওভারে এবাদত হোসেন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে নো বল করেছেন। এমনকি শেষ ওভারেও নো বল দিয়েছেন স্পিনার মেহেদি।
বাঁচা-মরার ম্যাচে লঙ্কানদের বিপক্ষে ঘায়েল হয়েছে বাংলাদেশ। সাকিবের মতে, চাপে বাংলাদেশ দল ভেঙে পড়ে এটা আরেকবার প্রমাণ হলো, ‘এটা প্রমাণ করে যে, চাপে আমরা ভেঙে পড়ি। যখনই চাপ আসে আমি ম্যাচ হারি। ডেটথ ওভারে আমাদের অনেক উন্নতি করার আছে।’
বল হাতে অভিষিক্ত পেসার এবাদত হোসেন প্রথম দুই ওভার দারুণ করেছিলেন। তিন উইকেট নিয়ে দলকে ম্যাচে ফিরিয়েছিলেন তিনি। ওই এবাদত পরের দুই ওভারে খরুচে বোলিং করেছেন। তবে এবাদতকে দোষ দিচ্ছেন না সাকিব। তার মতে, এমন চাপের ম্যাচ এবাদত আগে খেলেননি।
সাকিব বলেন, ‘এবাদত এমন চাপের ম্যাচ আগে খেলেনি। ও টেস্ট খেলেছে, সম্ভবত একটা-দুইটা ওয়ানডে খেলেছে। ওর জন্য এমন চাপের ম্যাচ এই প্রথম। তার অনেক কিছু শেখার আছে। তবে আমি মনে করি, সেই ম্যাচে আমাদের সেরা পেসার। তিন উইকেট নিয়ে সেই আমাদের ম্যাচে রেখেছিল। ভেবেছিলাম, শেষেও রিদমরা সে পাবে।’