যশোর সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সেফটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে অর্ধগলিত লাশের পরিচয় মিলেছে। লাশটি সাতক্ষীরার তালা উপজেলার সাতপাখিয়া গ্রামের ফাহিমা বেগমের (৩৫) বলে দাবি করেছেন নিহতের ভাই শরিফুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে এসে বোনের পোষাক দেখে তিনি শনাক্ত করেন।
শরিফুল ইসলাম বলেন, আমার বোনের দুটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। আমার বোন ফাহিমা ও ভগ্নিপতি জাহাঙ্গীর হোসেন দু’জন মিলে যশোর সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর দফাদার ইটের ভাটায় শ্রমিকের কাজ করশ্রণ। বোনের সাথে ভগ্নিপতি জাহাঙ্গীরের দাম্পত্য জীবনে কলহের কারণে ফাহিমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। গত ১৫ ডিসেম্বর বোন ফাহিমাকে বাড়ি থেকে যশোরে নিয়ে ইটের ভাটায় কাজ করতে আসে জাহাঙ্গীর। এরপরে আর বোনের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। ভগ্নিপতি জাহাঙ্গীরের কাছে বোনের কথা জানতে চাইলে এলোমেলো কথা বলায় আমি তালা থানায় একটি অভিযোগ করি।
পুলিশ ভগ্নিপতি জাহাঙ্গীরকে আটক করে আবার ছেড়ে দেয়। এরপর থেকে আর বোনের কোনো সন্ধান পাচ্ছিলাম না। বৃহস্পতিবার পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে যশোরে এসে বোনের পরিহিত কাপড় দেখে চিনতে পারি এটা আমার বোন ফাহিমা। অপরদিকে জাহাঙ্গীরও নিরুদ্দেশ রয়েছে। আমার সন্দেহ জাহাঙ্গীরই বোনকে হত্যা করে লাশ বাথরুমের সেফটিক ট্যাংকের মধ্যে ফেলে রেখেছে।
নরেন্দ্রপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিবপদ বিশ্বাস বলেন, সকাল ১০টার দিকে স্কুলে আসলে শিক্ষকরা জাপ্রণ দুর্গন্ধে টেকা যাচ্ছে না। স্কুলের দফতরিসহ লোকজনকে নিয়ে খোঁজাখুজির পর সেফটিক ট্যাংকের মধ্যে লাশ দেখতে পাই। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ কোতোয়ালি থানার ওসি ঘটনাস্থলে আসেন।
নরেন্দ্রপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই সুপ্রভাত মন্ডল বলেন, নিহতের পরিচয় মিলেছে, লাশটির নাম ফাহিমা নামে একজন নারীর। তার ভাই শরিফুল দাবি করছেন এটা বোন ফাহিমার লাশ।