রাজধানীর ধানমন্ডিতে কলেজছাত্র আয়াজ হক হত্যা মামলায় আসামি ইনজামামুল ইসলাম ওরফে জিসানকে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ডসহ ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন এই আদেশ দেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন তৌহিদুল ইসলাম, মশিউর রহমান আরাফ, তৌহিদুল ইসলাম শুভ, আবু সালেহ মো. নাসিম ও আরিফ হোসেন রিগ্যান। আসামিরা ধানমন্ডি সিটি কলেজের বাণিজ্য বিভাগের ছাত্র ছিলেন।
এর আগে কারাগারে আটক আসামি ইনজামামুল ইসলাম ওরফে জিসান ও তৌহিদুল ইসলামকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর আদালত তাদের উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন। এসময় আসামিদের সাজা পরোয়ানা করে পাঠানো হয়। তবে এ মামলায় মশিউর রহমান আরাফ, তৌহিদুল ইসলাম শুভ, আবু সালেহ মো. নাসিম ও আরিফ হোসেন রিগ্যান পলাতক থাকায় আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
ছেলে আয়াজ হত্যার ঘটনায় বাবা আইনজীবী শহীদুল হক ২০১৪ সালের ৯ জুন ধানমন্ডি থানায় সিটি কলেজের বাণিজ্য বিভাগের ছয় ছাত্র ইনজামামুল ইসলাম ওরফে জিসান, তৌহিদুল ইসলাম, মশিউর রহমান আরাফ, তৌহিদুল ইসলাম শুভ, আবু সালেহ মো. নাসিম ও আরিফ হোসেন রিগ্যানের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরো ১০-১২ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
২০১৫ সালের ১৩ মে ধানমন্ডি থানার এসআই সাহিদুল বিশ্বাস ৪৭ জনকে সাক্ষী করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৬ সালের ২৪ নভেম্বর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচারের আদেশ দেন। বিচার চলাকালে বিভিন্ন সময়ে আদালত ১৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৪ সালের ৯ জুন সিটি কলেজের প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্টের প্রস্তুতি ও খরচ বাবদ টাকা তোলার বিষয় নিয়ে আয়াজের বড় ভাই সিটি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আশদিন হকের সঙ্গে আসামিদের কথাকাটাকাটি ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়।
একপর্যায়ে ওইদিন বিকেলে ধানমন্ডি থানার জিগাতলায় অবস্থিত যাত্রী ছাউনির কাছে আয়াজকে একা পেয়ে পরস্পরের যোগসাজশে এলোপাতাড়ি মারপিট করে মারাত্মক জখম করেন আসামিরা। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।