সাভারের রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্র বর্মণে লাশ উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাভারের রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এলাকায় তার লাশ উদ্ধারে অভিযান শুরু হয়। র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
র্যাব বলছে, মিন্টু বর্মণকে হত্যার পর লাশ টুকরা টুকরা করে স্কুলের মাঠে পুঁতে ফেলা হয়েছে। স্কুলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে তাকে খুন করা হয়। মিন্টুর এক সহকর্মীসহ র্যাবের হাতে আটক তিনজনও র্যাবের অভিযান দলের সঙ্গে রয়েছেন।
মিন্টু চন্দ্র বর্মণ সাত বছর ধরে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় বসবাস করতেন। তিনি সেখানকার আমিন মডেল টাউন স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষকতা করতেন। দুই বছর আগে (২০১৯ সাল) মিন্টু চন্দ্র বর্মণসহ চারজন মিলে জামগড়া এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে সাভার রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। অন্য তিন সহপ্রতিষ্ঠাতা হলেন রবিউল ইসলাম, মোতালেব ও শামসুজ্জামান। মিন্টু চন্দ্র বর্মণ ছিলেন এর অধ্যক্ষ। গত ১৩ জুলাই থেকে তার সন্ধান মিলছিল না।
র্যাব জানিয়েছে, যাদের আটক করা হয়েছে, তাদের ভাষ্যমতে, স্কুলের শ্রেণিকক্ষেই মিন্টু বর্মণকে কুপিয়ে খুন করা হয়। লাশ ছয় টুকরা করে স্কুলের মাঠেই পুঁতে ফেলা হয়। দেহ থেকে মিন্টুর মাথা বিচ্ছিন্ন করে উত্তরায় একটি ডোবাতে ফেলা দেওয়া হয়। ২৮ দিন ধরে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। আটক সবাই খুনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।
খুলনা গেজেট/এনএম