১.
‘নতুন মৌসুমে সোনালি ফসলে ভরে যায় মাঠ। হৃদয় নিভৃতে,
ভালোবাসার ছোঁয়ায়, রাতের আকাশে জোৎস্না তারা হাসে,
নব উল্লাসে ভরে যায়-হৃদয়মন, বরযাত্রী, নববধূর আগমন।
সাজানো গৃহাঙ্গনে অনেক-আয়োজন, প্রয়োজন।
নবান্নের ফসলের ঘ্রানে নববধূ বরণ। শীত মৌসুমে
হিমেল হাওয়ায় অনেক আবেগ ভরা মন। অনেক অভিলাষ
পুস্পকলি ভরা, ফুটন্ত-কুসুম কানন।
আদর সোহাগ ভরা, স্নেহ মায়ায় মায়ের ভালোবাসায় ও পিতৃস্নেহে
গড়া হৃদয়মন। শুধু স্মৃতি চারণ !
ঊষার শিশির ভেজা আদ্র ঘাসে, সবুজ পত্র পল্লব ছায়ায়
ভাবনার জাগরণ। গোলাপ বেলীর গন্ধে ভরা, পলাশ ফুলের
উপবন। এক বিচিত্র শোভায় লাল লাল শিমুল বন।
কৃষ্ণচূড়া লালে লাল-উদাস মন।
২.
জীবনের সকল ব্যস্ততা থামে না কখনো। চলন্ত
ট্রেনের গতি যেমন..। কর্ম কোলাহলে সচল মন,
মুক্ত ঊষার নব গৃহাঙ্গন। মুক্ত বাতাসে সদা
খোলা বাতায়ন। এসেছে অগ্রহায়ণ, ফসল তুলে উদাসী মন।
কৃষানের গোলাভরে, শস্য-ফসলে, আনন্দঘন মন;
ফসলের উৎসবে, মেলার আয়োজন, বনভোজন।
শীত মৌসুমে সবুজ বৃক্ষের ডালে প্রবাসী পাখিদের
বিচরণ। সবুজ অভয়ারণ্যে প্রবাসী পাখির আগমন
অনেক কলকুঞ্জন। লেকের পাড়ে, কৃষ্ণচূড়া বনে, দেখি,
সবুজ শ্যামলিমায়, বৃক্ষের ডালে ঝাঁকে ঝাঁকে পাখিদের নাচন।
৩.
শস্য-ফসল ঘরে তোলে-কৃষানের গোলাভরে, পাকা ধানে
সোনালি স্বপ্নে হৃদয় ভরে। অনেক প্রাচুর্য মাটির,
উর্বর ফসলে-সোনালি ভবিষ্যৎ গড়ে। সোনালি আঁশে।
প্রকৃতি চেতনায় আমার প্রাণের বিনোদন।
বাংলা কবিতার ছন্দে আমার নিরন্তর সুখ, আজীবন
বাংলা শব্দ, উচ্চারণে প্রকৃতি সুষমায় বাংলাদেশের তাল
তমালের বন। সোনালি স্বপ্নে ভালোবাসার আকিঞ্চন।
বিশাল অরণ্য শোভা-সুন্দরবন, হিমালয়ের বরফ ঢাকা
কাঞ্চনজঙ্ঘা, রাঙামাটির পাহাড়ী শোভা, ঝর্ণাধারা,
লেকের পাড় সবুজে ঘেরা বান্দরবন। ধন্য সুখে প্রকৃতি ও জীবন।