নির্ধারিত সময়ে সমতার পর অতিরিক্ত সময়ে বদলি নেমে ব্যবধান গড়ে দিলেন হাভি মার্তিনেস। সেভিয়াকে হারিয়ে উয়েফা সুপার কাপ জিতল বায়ার্ন মিউনিখ। বুদাপেস্টের পুসকাস অ্যারেনায় বৃহস্পতিবার ২-১ গোলে জিতে শিরোপা উৎসব করে হান্স ফ্লিকের দল। প্রতিযোগিতায় জার্মান ক্লাবটির এটি দ্বিতীয় শিরোপা। লুকাস ওকাম্পোস সেভিয়াকে এগিয়ে নেওয়ার পর সমতা টানেন লেয়ন গোরেটস্কা। অতিরিক্ত সময়ে জয়সূচক গোলটি করেন মার্তিনেস।
এই নিয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলে টানা ২৩ ম্যাচ জিতল ইউরোপ চ্যাম্পিয়নরা। গত বছরের ৭ ডিসেম্বরে বরুশিয়া মনশেনগ্লাডবাখের মাঠে সবশেষ হেরেছিল বায়ার্ন। এরপর টানা ৩২ ম্যাচ অপরাজিত আছে তারা; ৩১ জয়, এক ড্র।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মাঝে ২০ হাজার দর্শককে এই ম্যাচে মাঠে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছিল উয়েফা।
ত্রয়োদশ মিনিটে আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার ওকাম্পোসের সফল স্পট-কিকে এগিয়ে যায় সেভিয়া। কিছুদিন আগে বার্সেলোনা থেকে পুরনো ঠিকানায় ফেরা ইভান রাকিতিচকে ডি-বক্সে বায়ার্ন ডিফেন্ডার দাভিদ আলাবা ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি। এই ম্যাচ দিয়েই সেভিয়ায় দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হলো রাকিতিচের।
গোল হজমের পর কয়েক মিনিটের মধ্যে দুটি সুযোগ হাতছাড়া করে বায়ার্ন। ভালো জায়গায় বল পেয়ে বাইরে দিয়ে মারেন বাঁজামাঁ পাভার্দ। রবের্ত লেভানদোভস্কির শট ফেরান গোলরক্ষক।
৩৪তম মিনিটে বায়ার্নকে ম্যাচে ফেরান গোরেটস্কা। সতীর্থের ক্রস ডি-বক্সের ভেতর পেয়ে ভলিতে তার সামনে বাড়ান লেভানদোভস্কি। ডান পায়ের শটে বল জালে পাঠান জার্মান মিডফিল্ডার গোরেটস্কা।
দুই মিনিট পর লুক ডি ইয়ং বল জালে পাঠালেও অফ সাইডের কারণে গোল পায়নি সেভিয়া।
দ্বিতীয়ার্ধের ষষ্ঠ মিনিটে বল জালে পাঠিয়ে সতীর্থদের সঙ্গে উদযাপনে মাতেন লেভানদোভস্কি। তবে ভিএআরের সাহায্য নিয়ে অফ সাইডের বাঁশি বাজান রেফারি।
নির্ধারিত সময়ের শেষ ১০ মিনিটে অতি আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে বিপদে পড়তে বসেছিল বায়ার্ন। ৮৮তম মিনিটে দারুণ এক পাল্টা আক্রমণে গোলরক্ষককে একা পেয়েছিলেন ইউসেফ এন-নেসাইরি; কিন্তু সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। তার নিচু শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান মানুয়েল নয়ার।
৩০ মিনিটের অতিরিক্ত সময়ের চতুর্দশ মিনিটে জয়সূচক গোলটি করেন মার্তিনেস। আলাবার শট গোলরক্ষক ফেরালে ফিরতি বল হেডে জালে পাঠান তিন মিনিট আগে বদলি নামা এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডার।
প্রতি বছর নতুন মৌসুমের শুরুতে আগের মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপাজয়ী ও ইউরোপা লিগের চ্যাম্পিয়নের মধ্যে এই লড়াই হয়ে থাকে।
২০০৬ সালে প্রথমবার সুপার কাপে অংশ নিয়ে বার্সেলোনাকে ৩-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল সেভিয়া। এরপর আরও পাঁচবার খেলে প্রতিবারই রানার্সআপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হলো দলটিকে।
খুলনা গেজেট/এএমআর