খুলনা, বাংলাদেশ | ২০ আশ্বিন, ১৪৩১ | ৫ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  অন্তবর্তী সরকারের সঙ্গে বিএনপি প্রতিনিধি দলের বৈঠক চলছে
  গাজীপুরের জিরানিতে সড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
  সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী ইন্তেকাল করেছেন

সেপটিক ট্যাংকে পড়ে ৩ জনের প্রাণহানি

গেজেট ডেস্ক

রংপুরে মিঠাপুকুরে সেপটিক ট্যাংকে পড়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে দুজন একই পরিবারের বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকাল ৬টার দিকে উপজেলার ১৩নং শাল্টি গোপালপুর ইউনিয়নের ধাপ উদয়পুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মিঠাপুকুর থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ।

নিহতরা হলেন- ওই গ্রামের বাদশা মিয়ার স্ত্রী দেলোয়ারা বেগম (৫৫), তার ছেলে ইদা মিয়া (৩৫) ও প্রতিবেশি তবারক হোসেনের ছেলে ইবলুল মিয়া (৩৫)। দেলোয়ারা বেগম ও ইদা মিয়া সম্পর্কে মা-ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ধাপ উপদয়পুর কায়েমের বাজার এলাকার দেলোয়ারা বেগম সকালে রান্নার জন্য বাড়ির পাশে লাউ গাছের পাতা তুলতে যান। এসময় তিনি অসাবধানতা বশত. টয়লেটের সেফটি ট্যাংকে পড়ে যায়। খবর পেয়ে বাড়ির লোকজন ছুটে এসে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। ওই সেফটি ট্যাংকে নেমে পড়েন ছেলে ইদা মিয়া। তিনিও সেখানে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তাদেরকে বাঁচাতে মই দিয়ে নিচে নেমে পড়েন প্রতিবেশি তবারক মিয়া। তারও কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে এলাকাবাসী শঠিবাড়ী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যদের খবর দেন। প্রায় ঘণ্টাখানেক পড়ে তারা গিয়ে ৩ জনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন।

প্রতিবেশি মনজুর হোসেন বলেন, দোলোয়ার বেগম সকালের রান্নার জন্য লাউ গাছের পাতা তুলতে গিয়ে সেফটি ট্যাংকে পড়ে যায়। তাকে বাঁচাতে ছেলে ইদা মিয়া সেখানে নেমে পড়েন। তাদের দুজনের সাড়াশব্দ না পেয়ে প্রতিবেশি ইবলুল মিয়া নেমে পড়েন। তিনিও সেখানে আটকে যান। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে তাদেরকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে।

আরেক প্রতিবেশি আশিকুর রহমান বলেন, ওই সেফটি ট্যাংকটি ছিল কার্বন মনোক্সাইডে পরিপূর্ণ। এই গ্যাসে তাদের মৃত্যু হতে পারে।

গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হারুন-অর রশিদ বলেন, মুলত. দুর্ঘটনাবশত মা দেলোয়ারা বেগম সেফটি ট্যাংকে পড়ে যায়। তাকে বাঁচাতে ছেলে ও একজন প্রতিবেশি সেখানে নেমে পড়েন। পরে ৩ জনেই মৃত্যুবরণ করেন।

মিঠাপুকুর থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, সেফটি ট্যাংকে পড়ে তাদের ৩ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!