সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে উল্লেখ করে খুলনা বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। চিকিৎসকরা বলছেন, অতি দ্রুত বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য উন্নত দেশ আমেরিকা, যুক্তরাজ্য বা জার্মানিতে না পাঠালে তার জীবন রক্ষা করা মুশকিল হয়ে যাবে। বিদেশে উপযুক্ত চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে সূক্ষ্ম মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। বেগম খালেদা জিয়াকে যখন ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে নেয়া হয়েছিল, তখন তিনি কারাগারের ভেতরে হেঁটে গেছেন। কিন্তু আজ কেন তার এই ভয়ানক অবনতিশীল শারীরিক অবস্থা? এ প্রশ্নের জবাব সরকার, কারাগার ও পিজি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে একদিন দিতেই হবে।
রবিবার (২৩ জুন) দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আশু সুস্থতা কামনায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির উদ্যোগে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল পূর্ব আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনের পরিচালনায় দোয়া মাহফিল পূর্ব আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ডায়াবেটিস, আর্থারাইটিস ছাড়াও হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনিসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন। বেগম খালেদা জিয়া এ দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য, গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য আপসহীন ভূমিকা রেখেছেন। সে জন্য আজ সারা দেশের মানুষ তার মুক্তি চায়, সুচিকিৎসা চায়।
হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়া একজন বর্ষীয়ান জনপ্রিয় জাতীয় নেত্রীর গুরুতর অসুস্থতা নিয়ে সরকারের টালবাহানা সম্পর্কে হুঁশিয়ার উচ্চারণ করে বক্তারা আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার কিছু হলে কেউ রেহাই পাবেন না। জনগণের টর্নেডো আন্দোলনে ছিন্নভিন্ন হয়ে যাবেন আপনারা। আপনাদের অস্তিত্ব জনগণের মন থেকে মুছে যাবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খান, মো. শফিকুল আলম তুহিন, আবু হোসেন বাবু, খান জুলফিকার আলী জুলু , স ম আ. রহমান, এস এ রহমান বাবুল, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, কাজী মাহমুদ আলী, মো. রকিব মল্লিক, শের আলম সান্টু, আবুল কালাম জিয়া, বদরুল আনাম খান, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, আশরাফুল আলম খান, মাসুদ পারভেজ বাবু, শেখ সাদি, হাসানুর রশিদ চৌধুরী মিরাজ, এনামুল হক সজল, কে এম হুমায়ন কবীর (ভিপি হুমায়ুন), হাফিজুর রহমান মনি, মুরশিদ কামাল, কাজী মিজানুর রহমান, আব্দুল মান্নান খান, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, সৈয়দ সাজ্জাদ আহসান পরাগ, শেখ ইমাম হোসেন, আবু সাইদ হাওলাদার আব্বাস, মোজাফফর হোসেন, মনিরুজ্জামান মন্টু, একরামুল কবীর মিল্টন, শেখ জামাল উদ্দিন, মো. হাফিজুর রহমান, আফসার উদ্দিন, কাজী শাহ নেওয়াজ নিরু, মো. জাহিদুল হোসেন, মিজানুর রহমান মিলটন, শেখ সরোয়ার হোসেন, শফিকুল ইসলাম শফি, রফিকুল ইসলাম, আলী আক্কাস, ফারুক হোসেন, মুজিবর রহমান, আজিজা খানম এলিজা, সরদার আবদুল মালেক, রাহাত আলী লাচ্চু, জাফরি নেওয়াজ চন্দন, শামসুল বারিক পান্না, যুবদলের কাজী নেহিবুল হাসান নেহিম, আব্দুল্লাহেল কাফি সখা, আব্দুল আজিজ সুমন, কৃষক দলের মোল্লা কবির হোসেন, তাঁতী দলের মাহমুদ আলম লোটাস, জাসাসের নুর ইসলাম বাচ্চু, আজাদ আমিন, কাজী জলিল, মহিলা দলের এ্যাড.তসলিমা খাতুন ছন্দা, সেতারা সুলতানা, আনজিরা খাতুন, ছাত্রদলের আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি, ইসতিয়াক আহমেদ ইস্তি, আঞ্চলিক শ্রমিক দলের আবু দাউদ দ্বীন মোহাম্মাদ,আলমগীর হোসেন তালুকদার প্রমূখ।
খুলনা গেজেট/এনএম