নেদারল্যান্ডের সুপার টুয়েলভে যাওয়া অনেকটা নিশ্চিত হলেও কিছুটা শঙ্কা রয়েই গেছে। সেই শঙ্কা দূর করতে হলে আজ সুপার টুয়েলভ জয় নিশ্চিত করতে হবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। আর সেই কাঙ্ক্ষিত জয় তুলে নিতে ১৬৩ রানের টার্গেট পেয়েছে ডাচরা।
নেদারল্যান্ডের জন্য যেমন আজ জয় পেলেই সুপার টুয়েলভ নিশ্চিত হবে তেমন পরের পর্বে যাওয়ার আশা বাঁচিয়ে রাখতে আজ জিততেই হবে শ্রীলঙ্কাকে।
জিলংয়ের কার্ডিনিয়া পার্কে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় লংকান অধিনায়ক দাসুন শানাকা। ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনার কুশল মেন্ডিসের হাফ সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৬২ রান সংগ্রহ করে লঙ্কানরা।
এখন পর্যন্ত কার্ডিনিয়া পার্কে দিনের প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাট করা দলই জয় নপেয়েছে। সে কারণেই হয়তো টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন লঙ্কান অধিনায়ক।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা বেশ ধীরস্থিরভাবেই করেছিলেন দুই লঙ্কান ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা আর কুশল মেন্ডিস। পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারে বিনা উইকেটেই ৩৬ রান তুলে ফেলে শ্রীলঙ্কা। কিন্তু পরের ওভারে গিয়েই নিশাঙ্কাকে ফেরান পল ভ্যান মেকেরেন। ২১ বলে ১৪ রান করেই ফেরেন লঙ্কান এই ওপেনার।
পরের বলেই ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে ফিরিয়ে শ্রীলঙ্কাকে বড় ধাক্কাই দেন এই ডাচ পেসার। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগালেও সেটি আর হয়নি অবশ্য। পরপর দুই উইকেট হারানোর ধাক্কাটা সামলে নিয়েছেন কুশল মেন্ডিস আর চারিথ আসালাঙ্কা মিলে। দুজন মিলে গড়েন ন৬০ রানের জুটি। রানের গতিও বাড়িয়েছেন এই দুজন।
দলীয় ৯৬ রানে আসালাঙ্কা আউট হয়ে গেলে ভাঙ্গে এই জুটি। ৩০ বলে ৩১ রান করে বাস ডি লিডের বলে ফিরে যান এই ব্যাটার। ভানুকা রাজাপাকসে এসে ভালো শুরু করলেও ১৩ বলে ১৯ রান করেই ডি লিডের বলেই ফিরতে হয় তাকেও।
অধিনায়ক দাসুন শানাকাও এদিন করতে পারেননি কিছুই। ৫ বলে ৮ রান করেই ফেরেন তিনি। ১৫১ রানে ৫ম উইকেট হারায় লঙ্কানরা। অন্যদের যাওয়া আসার ভিড়ে দলের রানের চাকা সচল রেখেছিলেন ওপেনিংয়ে নামা কুশল মেন্ডিস.
ডাচ বোলারদের চোখ রাঙানি সামলে ৪৪ বলে ৭৯ রানের ঝড়ো ইনিংসেই লঙ্কানদের স্কোরবোর্ডকে দেড়শ ছাড়িয়েছেন এই ওপেনার। ইনিংসের শেষ ওভারে ভ্যান ডার গুগটেনের বলে কুশল মেন্ডিস যখন আউট হন দলের রান তখন ১৫৭। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ১৬২ রান তোলে শ্রীলঙ্কা।