খুলনা, বাংলাদেশ | ৪ঠা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৮ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  শেয়ার মার্কেটে কারসাজি: সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
  খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলামের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন
  খুলনায় দুই নারী করোনায় আক্রান্ত, একজনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি
  জুলাই মাসের মধ্যেই ‘জুলাই সনদ’ চূড়ান্ত : আলী রিয়াজ

সুন্দরবনে হরিণ শিকারের ফাঁদ উদ্ধার, ধরাছোঁয়ার বাইরে বন খেকোরা

মোংলা প্রতিনিধি

সুন্দরবনের পূর্বাঞ্চলে হরিণ শিকারের নিষ্ঠুরতা যেন কোনোভাবেই থামছে না। একের পর এক অভিযানে শত শত ফাঁদ উদ্ধার হলেও শিকারি চক্রের সদস্যরা রয়ে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।

পূর্ব সুন্দরবনের কোকিলমনি টহল ফাঁড়ি ও টিয়ারচর এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে হরিণ শিকারের ছয় শতাধিক ফাঁদ এবং কাঁকড়া ধরার ১৬টি নিষিদ্ধ চারু। তবে অভিযানে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

সোমবার (১৬ জুন) সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে এসব জব্দ করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ফুট প্যাট্রোলের আওতায় রেঞ্জ কর্মকর্তা ও বনকর্মীরা কোকিলমনি টহল ফাঁড়ির টিয়ারচর এলাকায় গোপন অভিযানে নামেন। এ সময় বনের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে রাখা ছয় শতাধিক মালা ফাঁদ ও ১৬টি চারু জব্দ করা হয়।

তিনি আরও জানান, বন বিভাগের নিয়মিত টহলের খবর পেয়ে শিকারিরা আগেভাগেই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে। নিজেদের রক্ষা করতে ফাঁদগুলো মাটির নিচে পুঁতে রেখে যায় তারা। উদ্ধার করা সরঞ্জাম বর্তমানে কোকিলমনি টহল ফাঁড়িতে হেফাজতে রাখা হয়েছে।

এর আগে, ১৩ জুন পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের ঢাংমারী স্টেশন এলাকায় বন প্রহরীরা গোপন অভিযানে আরও ১৩৫টি মালা ফাঁদ উদ্ধার করেন। এর মধ্যে হুলার ভারানী সংলগ্ন খাল থেকে ৮২টি ও সূর্যমুখী খাল সংলগ্ন এলাকা থেকে ৫৩টি ফাঁদ জব্দ করা হয়। পরে এসব ফাঁদ পুড়িয়ে ধ্বংস করে দেওয়া হয়।

অভিযান নিয়মিত হলেও শিকারিরা বারবার ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে বন বিভাগের কার্যকারিতা নিয়ে। স্থানীয়দের অভিযোগ বনের ভেতর দীর্ঘদিন ধরে একটি প্রভাবশালী শিকারি চক্র সক্রিয় রয়েছে। তারা আগাম খবর পেয়ে নিরাপদে সরে পড়ে।

পরিবেশবীদরা বলছেন, সুন্দরবনে হরিণ শিকার বন্ধ না হলে জীববৈচিত্র্য ভয়াবহ হুমকির মুখে পড়বে। শুধু আইন প্রয়োগ নয়, স্থানীয় জনসম্পৃক্ততা ও প্রযুক্তি নির্ভর নজরদারিও এখন সময়ের দাবি।

বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী আরও বলেন, যেকোনও ধরনের বন অপরাধ দমনে বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিয়মিত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আশা করছি বন বিভাগের এ কঠোরতার মধ্য দিয়ে সকল ধরনের বন অপরাধ কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!