র্যাব-৬ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মোস্তাক আহম্মদ বলেন, র্যাবের হাত ধরেই সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় জেলেরা যাতে সুন্দরবনে নিরাপদে নির্ভিগ্নে মাছ ধরতে পারে সেজন্য, আমরা সব ধরণের চেষ্টা করে যাচ্ছি।
সুন্দরবনের জেলে ও বনজীবীদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। রবিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার শরণখোলা মাছ বাজার এলাকায় র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-এর পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।
এ সময় তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন সময় জেলেদের পুনঃবাসনেও র্যাবের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় আজকে র্যাবের পক্ষ থেকে সুন্দরবনের জেলেদের শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও সুন্দরবনের আরও বনজীবীদের মাজে শীতবস্ত্রসহ বিভিন্ন উপকরণ সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন র্যাব-৬ এই শীর্ষ কর্মকর্তা। র্যাব- ৬ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মোস্তাক আহম্মদ এই শীত বস্ত্র বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন ।
এসময় র্যাব- ৬ এর কোম্পানী কমান্ডার পুলিশ সুপার মো. বদরুদ্দোজা, স্কোয়ার্ড কমান্ডার গোলাম রসুল, স্কোয়ার্ড কমান্ডার আবুল কালাম আজাদসহ র্যাবের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধিসহ উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন। এদিন সুন্দরবনের জেলে ও বনজীবীদের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়।
সুন্দরবনের জেলে মোঃ রায়হান বলেন, সুন্দরবনের বনদস্যুদের আক্রমনসহ বিভিন্ন বিপদ-আপদে র্যাব আমাদের পাশে থাকে। আজকে আমাদের ডেকে এনে কম্বল দেওয়ায়, খুব ভাল লাগছে।
জামাল গাজী নামের এক জেলে বলেন, সুন্দরবনের কাছে এসে আমাদের ডেকে ডেকে কম্বল দিবে, এটা কখনও ভাবিনি। একটি বিনামূল্যের কম্বল আনতে গিয়ে অনেক সময় আমাদের একটি দিন কেটে যায়। আর আজকে আধাঘন্টা সময়ও অপেক্ষা করা লাগেনি।