সুন্দরবনে করমজল ইন্টারপ্রিটেশন এ্যান্ড ইনফরমেশন সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার (০৬ মে) দুপুরে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের করমজল বন্যপ্রাণি প্রজনন কেন্দ্রে এই সেন্টারের উদ্বোধন করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয় মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার এমপি। এসময়, খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো, সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা(ডিএফও) মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারি বন সংরক্ষক রানা দেব, করমজল বন্যপ্রাণি প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবিরসহ বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধন শেষে উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার এমপি বলেন, প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ঠ বিস্ময়কর একটি বিষয় সুন্দরবন।ঝড়-জলচ্ছাসে বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষিরা, পিরোজপুর, বরগুনার মানুষের ঢাল হয়ে থাকে সুন্দরবন। এই সুন্দরবনকে রক্ষায় আমাদের সকলের সোচ্চার হতে হবে। বন ও জীব বৈচিত্রের কোন ক্ষতি হয় এটা কখনই না করার অনুরোধ করেন তিনি।
পরে দর্শনার্থীদের জন্য করমজলের নলবুনিয়া খালের উপর একটি ঝুলন্ত সেতু উদ্বোধন উপ-মন্ত্রী। এবং প্রজনন বৃদ্ধির জন্য ৬টি কুমিরকে খালে অবমুক্ত করেন তিনি।
প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ২তলা বিশিষ্ট এই ইন্টারপ্রিটেশন ও ইনফরমেশন সেন্টারে সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রাণির মমি, কঙ্কাল ও বিস্তারিত তথ্য সম্বলিত পুস্তিকা বা লিপলেট থাকবে। সুন্দরবনের বিশালতা, গাছ-গাছালি, প্রাণি বৈচিত্র, নদী-নালাসহ সব বিষয়ে তথ্য পাওয়া যাবে এই সেন্টারে। সেই থাকে দর্মনার্থীদের ব্যাখা করেও বোঝানো হবে সুন্দরবন সম্পর্কে।
করমজল বন্যপ্রাণি প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, ‘ইন্টারপ্রিটেশন ও ইনফরমেশন সেন্টার’ নামে যে তথ্য কেন্দ্রটি চালু হলো, এটার খুব প্রয়োজন ছিল। প্রতিদিন এই বনে দেশি–বিদেশি ভ্রমণ পিপাসুরা আসেন। কিন্তু বন সম্পর্কে তারা সঠিক ধারণা পান না, কারণ তাদের প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট করে কোন তথ্য কেন্দ্র বা ব্যক্তি দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিল না।। পর্যটকেরা সুন্দরবনকে উপভোগ, সুন্দরবন সম্পর্কে ধারণা নেওয়ার পাশাপাশি সুন্দরবন সম্পর্কে শিক্ষা এবং গবেষণায় কাজে লাগবে এই তথ্য কেন্দ্র।
খুলনা গেজেট/ এসজেড