সুন্দরবনে আত্মসমর্পণকারী ২৭ টি বাহিনীর ২৮৪ জন দস্যুদের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। তার মধ্যে বাগেরহাটের সাইনবোর্ডে ৩০ জন, ভাগা ৯০ জন, মোংলা ৫৭ জন। এছাড়া খুলনার জিরো পয়েন্টে ১৯ জন, আঠারো মাইল ১জন, তালা বাজার ৩ জন, শিববাড়ী ৪ জন, কয়রা ১৮ জন, মুন্সিগঞ্জ ৫৪ জন, সদরকোর্ট ৭ জন।
রবিবার (২৫ জুন) সকাল ১০ টায় স্থায়ী বন্দর শিল্প এলাকায় বনবিভাগের ফুয়েল জেটি সংলগ্ন এলাকায় তাদেরকে এ উপহার সামগ্রী বিতরণ করে র্যাব-৮। নগদ অর্থসহ এসব উপহার সামগ্রীর মধ্যে ছিলো চাল, তেল, ঘি, সেমাই, চিনি, দুধ, লবণ, বাদাম, কিসমিস, জিরা, মসলা ও পেঁয়াজসহ অন্যান্য সামগ্রী।
র্যাব-৮ এর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ঈদের এই উপহার বিতরণ করেন।
র্যাব-৮ এর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আত্মসমর্পণকারী দস্যুরা পুনর্বাসিত হয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন। সরকারের পক্ষ থেকে আত্মসমর্পণকারী সকল দস্যুদের বিরুদ্ধে রুজুকৃত চাঞ্চল্যকর ও গুরুতর অপরাধের মামলা ব্যতিত অন্যান্য সকল সাধারণ মামলা সহানুভূতির সাথে বিবেচনা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আত্মসমর্পণকারী জলদস্যুরা পুনর্বাসিত হয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন করছেন। সরকারের পক্ষ থেকে আত্মসমর্পণকারী সকল জলদস্যু/বনদস্যুদের বিরুদ্ধে রুজুকৃত চাঞ্চল্যকর ও গুরুতর অপরাধের (হত্যা ও ধর্ষণ) মামলা ব্যতীত অন্যান্য সকল সাধারণ মামলা সহানুভূতি সহকারে বিবেচনার বিষয়টি চলমান রয়েছে। এছাড়া র্যাব ফোর্সেস ডিজি’র পক্ষ নতুন নতুন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করাসহ বিভিন্ন সময়ে আর্থিক সহায়তা অব্যাহত রাখা হয়েছে।
ঈদ সামগ্রী পাওয়া আত্মসমর্পণকারী বনদুস্য পরিবারের সদস্য বলেন, র্যাবের এ ধরনের মহতী উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর সুন্দরবনকে দস্যু মুক্ত ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
খুলনা গেজেট/এনএম