খুলনায় সুন্দরবন রয়েছে, রয়েছে নদী বন্দর কিন্তু নেই পরিবেশ আদালত। সারা দেশের মধ্যে ঢাকা, চট্রগ্রাম ও সিলেটে পরিবেশ আদালত রয়েছে। খুলনায় নেই। কিন্তু পারিপার্শিকতায় খুলনায় পরিবেশ আদালত খুবই প্রয়োজন। এছাড়া যারা পরিবেশ ধ্বংস করছেন তারা কেউ না বুঝে আবার কেউ বুঝে করছেন। এক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে আরো কার্যকরী ভূমিকা রাখা প্রয়োজন। এ জন্য ভূমি ব্যবহারে জোনিং নিয়ম চালু হলে যে কেউ যেখানে সেখানে শিল্প কারখানা গড়ে তুলতে পারবে না। এ জন্য সরকারের পক্ষ থেকে জোরারো ভূমিকা রাখতে হবে।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকালে খুলনার একটি হোটেলে পরিবেশ আইনবিদ (বেলা) খুলনা বিভাগীয় নেটওয়ার্ক সমন্বয় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। এ সময় অংশ গ্রহণকারীদের কাছ থেকে খুলনা বিভাগে নদ-নদী,খাল-বিল, কৃষি জমা ও পুকুর ভরাট, ইটভাটা, অপরিকল্পিত শিল্পায়নসহ ৩৪টি সমস্যা তুলে ধরা হয়। বেলা এসব সমস্যা সমাধানে নেটওয়ার্ক সদস্যদের নিয়ে এডভোকেসি, আন্দোলন প্রয়োজনে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
বক্তারা আরও বলেন, খুলনার অধিকাংশ নদ-নদী, খাল-বিল মৃত প্রায়। স্থায়ী জলাবদ্ধতায় বিল ডাকাতিয়া, ভুতিয়ার বিল আর ভবদহ যেন কৃষকের নিকট অভিশাপ হয়ে দেখা দিয়েছে। এর থেকে পরিত্রাণের ব্যবস্থা করতে সরকারের প্রতি আহবান জানানো হয়। আড়ংঘাটা থানার তেলিগাতী গ্রামে জনবসতি এলাকায় গড়ে উঠেছে ইশানা নন ওভেন নামের শিল্প কারখানা। এই শিল্পকারখানার মালিক এলাকার পরিবেশ নানাভাবে নস্ট করছে। দালালের মাধ্যমে জমি ক্রয় করে সরকারকে রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। বিষয়টি তড়িৎ গতিতে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন নাগরিক নেতা অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির। বক্তৃতা করেন সুজন জেলা কমিটির সম্পাদক এড. কুদরত ই খুদা, বেলার প্রোগ্রাম অফিসার এ এসএম মামুন, পিএমএস আঃ মতলেব সরদার, পরিবেশ সুরক্ষা মঞ্চ খুলনার সাঃ সম্পাদক সুতপা বেদজ্ঞ, বেলার বিভাগীয় সমন্বয়কারী মাহফুজুর রহমান মুকুল, বেলার আসাদুল্লাহ গালিব, পরিবেশ সুরক্ষা মঞ্চের সদস্য মেরিনা যুথি, ছায়াবৃক্ষের মাহবুব আলম বাদশা প্রমূখ।
খুলনা গেজেট/ টিএ