সুন্দরবনে আগুন লাগার জায়গায় বর্তমানে কোথাও আগুন নেই। এরপরও সেখানে পর্যবেক্ষনের জন্য টিম রাখা হয়েছে। তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন করবে। এই অঞ্চলটি শুকনো। বর্ষা মৌসুমে ছাড়া এখানে পানি পাওয়া যায় না। এই সময় প্রতিবছর পাতা পড়ে জৈব পদার্থে পরিণত হয়। এখানে আগুন লাগা সহজ হয়। যে কারণে প্রায় প্রতি বছর এই অঞ্চলের বনে আগুন লাগে। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস, কোস্ট গার্ড, বন বিভাগ, বিমান বাহিনীসহ বিভিন্ন দপ্তরের সদস্য আজ সোমবারেও নিবিড় পর্যবেক্ষনে রাখবে। এখন পর্যন্ত চারিদিকে প্রায় ৫ একর জায়গা আগুনে ক্ষতি হয়ে থাকতে পারে।
সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ডের এলাকার সরজমিনে পরিদর্শন শেষে প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী একপ্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।
রোববার (৫মে) রাত সাড়ে ১০টায় সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এ প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় প্রধান বন সংরক্ষণ আরো বলেন, ওই ৫ একর জায়গা পানি নিয়ে ভিজিয়ে দেয়া হয়েছে। চারপাশে নালা কেটে পানি উঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া সোমবার সকাল থেকে ড্রোন দিয়ে জায়গাটি পরিক্ষা করা হবে কোথাও কোন আগুন রয়েছে কিনা।
সুন্দরবনে আগুন লাগার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধান বন সংরক্ষক বলেন, আমরা এখন সবাই ব্যস্ত আগুন নেভানোর জন্য। আমি নিজেও আগুন নেভানো ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সুতরাং যেসব কারণে আগুন লাগতে পারে… কোনও কারণকেই আমরা উড়িয়ে দিচ্ছি না। মৌয়ালের কারণেও আগুন লাগতে পারে। যারা মাছ ধরে… তারা ইচ্ছা করে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে- এটিও আমরা উড়িয়ে দিচ্ছি না। আবার দুর্ঘটনাবশত কারো হাত থেকে আগুন পড়ে গিয়েও লাগতে পারে, সেটিও আমরা উড়িয়ে দিচ্ছি না। সবগুলো হাতে রেখেই আমরা কাজ করছি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগুন লাগার ঘটনায় একটি বিশেষজ্ঞ টিম গঠন করা হবে। তারা আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে একটি সুপারিশসহ প্রতিবেদন দাখিল করবে। একই সাথে সংশ্লিষ্ট স্থানটিতে কোন জীব বৈচিত্র ক্ষতিগ্রস্থ হয়নি। বিগত দুই যুগে জায়গাটিতে অন্তত: ২৫ বার আগুন লেগেছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দো, সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় (ডিএফও) বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেনসহ বন কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, শনিবার (৪ মে) বিকেল পৌনে ৩টায় সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের আমরবুনিয়া এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
খুলনা গেজেট/এমএম