সুদের টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে জীবন দিলেন রামপালের ষাটোর্ধ রাজকুমার বিশ্বাস। শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা। এ ঘটনায় মৃতের জামাতা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মামলার আসামিরা হল উপজেলার উত্তর গৌরম্ভা গ্রামের হারান চন্দ্র রায়ের ছেলে তুহিন রায় ও একই গ্রামের অজিত অধিকারীর ছেলে মিলন অধিকারী। শুক্রবার গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে খুলনার লবনচরা থানা এলাকার জিন্নাহপাড়া থেকে তুহিন রায়কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় রামপাল থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম আশরাফুল আলম থানায় প্রেস বিফ্রিং করেন। সেখানে আসামির গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। প্রেস বিফ্রিংয়ে তিনি বলেন, মৃত রাজকুমার আসামি তুহিন রায়ের কাছে থেকে বিভিন্ন সময়ে লাখে ৬ হাজার টাকা সুদে ৭ লাখ টাকা নেয়। এরপর সুদ বাবদ তিনি ৩ লাখ ৬৩ হাজার টাকা পরিশোধ করেন।
আসামি মিলন অধিকারীর কাছে থেকে একই চুক্তিতে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা নেন। এরপর রাজকুমার তাকে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা সুদ বাবদ পরিশোধ করেন। ১নং ও ২নং আসামি মূল টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য মানষিকভাবে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে তাকে। এক পর্যয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ শালিস করে মূল টাকা হইতে পরিশোধকৃত টাকা বাদ দিয়ে বাকি টাকা পরিশোধ করার জন্য বলেন। তারা ওই সিদ্ধান্ত না মেনে পুরো সুদসহ টাকা পরিশোধের জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে।
তারা প্রকাশ্যে ও মোবাইল ফোনে চাপ দিতে থাকে। এতে রাজকুমার ভীত হয়ে মানষিকভাবে ভেঙে পড়েন। ১৮ মে বিকেল ৫টায় গৌরম্ভা বাজারে মাছের চাদির সামনে টাকার জন্য আবারেও আসামিরা চাপ দিয়ে ও গালাগাল করতে থাকে। শুক্রবার রাতে কাউকে কিছু না জানিয়ে বাড়ির কাঁঠাল গাছের সাথে রশি দিয়ে রাজকুমার আত্মহত্যা করেন।
খুলনা গেজেট/ এসজেড