ভারতের করোনা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতির দিকে থাকলেও এখনই প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে সীমান্ত খুলতে চায় না সরকার। এ অবস্থায় চলমান সীমান্ত বন্ধের মেয়াদ আরও ১৪ দিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। অর্থাৎ দেশটির সঙ্গে আগামী ১৪ জুলাই পর্যন্ত স্থলসীমান্ত বন্ধ থাকবে।
সোমবার (২৪ জুন) পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে থাকা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে আমাদের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর করোনা পরিস্থিতি এখন বাড়তির দিকে। যে কারণে এখনই ঝুঁকি নেওয়া ঠিক হবে না। তাই আগামী ১৪ জুলাই পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে স্থলসীমান্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এ কর্মকর্তা আরও জানান, এই সময়ের মধ্যে ভারত থেকে সপ্তাহে তিনদিন অর্থাৎ রোববার, মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার বাংলাদেশিরা যথাযথ কাগজপত্র নিয়ে সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন।
ভারতে করোনা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় গত ২৬ এপ্রিল দেশটির সঙ্গে ১৪ দিনের জন্য সব ধরনের স্থলসীমান্ত বন্ধ করে বাংলাদেশ। তবে দেশটিতে আটকেপড়া বাংলাদেশি নাগরিকদের মধ্যে যাদের ভিসার মেয়াদ ১৫ দিন বা তার চেয়ে কম ছিল তাদের ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনের শর্তে দেশে ফেরার সুযোগ দেওয়া হয়। এখনও একই নিয়ম বলবৎ থাকছে।
দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের স্থলসীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার পর বেনাপোল, আখাউড়া ও বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশের সুবিধা পান বাংলাদেশিরা। পরে অবশ্য দর্শনা, হিলি ও সোনামুখী বন্দর দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের ফেরার সুযোগ দেয় সরকার। এরপর সীমান্তবর্তী জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনার প্রকোপ বাড়ায় সোনামুখী বন্দর নিয়ে বাংলাদেশিদের দেশে ফেরা বন্ধ করে সরকার। তবে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল অব্যাহত আছে।