‘আন্তর্জাতিক সিসা দূষণ প্রতিরোধ সপ্তাহ (২০-২৬ অক্টোবর)’ উপলক্ষে আজ খুলনায় ইয়ুথনেট গ্লোবাল এবং পিওর আর্থ বাংলাদেশের আয়োজনে একটি জনসচেতনতামূলক র্যালি, মানববন্ধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ইউনিসেফের সহায়তায় আয়োজিত এ কর্মসূচির প্রতিপাদ্য ছিল ‘সিসা দূষণ বন্ধ হলে, বাড়বে শিশু বুদ্ধি-বলে’।
সকালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু হওয়া র্যালিটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এতে ৩০ জনেরও বেশি প্রতিনিধি অংশ নেন, যাদের মধ্যে ছিলেন ইয়ুথনেট গ্লোবালের স্বেচ্ছাসেবক, পিওর আর্থের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান ও এনজিওর সদস্যরা। র্যালি শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় অংশগ্রহণকারীরা সিসা দূষণের প্রতিরোধে নানা স্লোগান দেন এবং সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য লিফলেট ও স্টিকার বিতরণ করেন।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে সিসা দূষণের মাত্রা ভয়াবহ হলেও জনসচেতনতা ও নীতিনির্ধারণী পদক্ষেপ অপর্যাপ্ত। গবেষণা বলছে, দেশের প্রায় ৬০ শতাংশ শিশুর রক্তে উচ্চ মাত্রায় সিসা রয়েছে, যা তাদের বুদ্ধিমত্তা ও শারীরিক বিকাশে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। এছাড়া, প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি এবং গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে গর্ভপাতের ঝুঁকিও বাড়ছে।
বক্তারা আরও বলেন, সিসা দূষণের ফলে দেশের অর্থনীতিতে বছরে প্রায় ২৮,৬৩৩ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়, যা জিডিপির ৬ থেকে ৯ শতাংশ পর্যন্ত ঘাটতির কারণ।
শেষে অংশগ্রহণকারীরা সরকারের প্রতি পাঁচ দফা দাবি জানায়, যার মধ্যে সিসা দূষণ রোধে কঠোর মনিটরিং, অবৈধ সিসা ব্যাটারি কারখানা বন্ধ এবং সিসা দূষণ প্রতিরোধে নতুন আইন প্রণয়নের আহ্বান জানানো হয়।
খুলনা গেজেট/এনএম