জয়ের জন্য শেষ ওভারে সিলেট স্ট্রাইকার্সের প্রয়োজন ছিল ২৩ রান। মুস্তাফিজের করা ওভারের প্রথম দুই বলে চার-ছক্কায় সমীকরণ সহজ করেন সামিউল্লাহ শিনওয়ারি। তাতে ঢাকার সমর্থকদের মনে কিছুক্ষণের জন্য হলেও ভয় ধরাতে পেরেছিলেন এই আফগান। তবে চতুর্থ ও পঞ্চম বলে যথাক্রমে আরিফুল ও শিনওয়ারিকে ফিরিয়ে ঢাকার জয় নিশ্চিত করেন ফিজ।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) চট্টগ্রামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৯৬ রান সংগ্রহ করেছে ঢাকা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭০ রান করেছেন লিটন। জবাবে খেলতে নেমে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৯০ রানের বেশি করতে পারেনি সিলেট। ৬ রানের হারে টেবিলের তলানিতে চলে গেছে সিলেট। অন্যদিকে একধাপ এগিয়ে ছয়ে ওঠে এসেছে ঢাকা।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি সিলেটের। ৩ রান করে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই সাজঘরে ফেরেন জজ মান্সি। তিনে নেমে ৮ রানের বেশি করতে পারেননি জাকির হাসান। তাতে ৩২ রানেই টপ অর্ডারের দুই ব্যাটারকে হারায় তারা।
এরপর তৃতীয় উইকেট জুটিতে দলের হাল ধরেন রনি তালুকদার ও অ্যারন জোন্স। ৩২ বলে ৩৬ রান করে জোন্স বিদায় নিলে ভাঙে সেই জুটি। অন্যদিকে রনি পেয়েছেন ফিফটির দেখা। ৪৪ বলে সর্বোচ্চ ৬৮ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। শেষদিকে জাকের আলি-আরিফুল হক ক্যামিওতে দলকে জেতানোর চেষ্টা করেছেন। তবে তা জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি। আরিফুল ১৩ বলে করেছেন ২৯ রান। আর জাকের করেছেন ১৩ বলে ২৮ রান।
এর আগে ঢাকার হয়ে আজও ভালো শুরু পেয়েছিলেন তানজিদ হাসান তামিম। তবে ইনফর্ম এই ওপেনার থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১৬ বলে ২২ রান করে তানজিদ তামিম সাজঘরে ফিরলে ভাঙে ২৮ রানের উদ্বোধনী জুটি। তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি জেপি কোটজে। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৮ বলে ৯ রান। এরপর মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতও দ্রুতই ফিরেছেন। তাতে ৬২ রানে ৩ উইকেট হারায় ঢাকা। চতুর্থ উইকেট জুটিতে সাব্বির রহমান ও লিটন মিলে যোগ করেন ৪২ রান। ২১ বলে ২৪ রানের বেশি করতে পারেননি সাব্বির। তার ধীরগতির ইনিংসের প্রভাব পড়ে ঢাকার রানরেটে। তবে এরপর উইকেটে এসে দ্রুত রান তোলায় মনযোগ দেন থিসারা পেরেরা।
লিটনের সঙ্গে পেরেরার ৮৫ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহ পায় ঢাকা। ৪৮ বলে ৭০ রান করে সাজঘরে ফিরেন লিটন। আর পেরেরার ব্যাট থেকে এসেছে ১৭ বলে ৩৭ রান।
খুলনা গেজেট/এএজে