অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ হত্যার ঘটনায় করা মামলায় টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত হওয়া পরিদর্শক লিয়াকত আলী এবং টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায়ে ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৭ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। এই রায়ে সন্তুষ্ট নন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার পর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদুল ইসলাম উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট নয়। এই মামলায় যে ৬ জনের যাবজ্জীবন হয়েছে তাদের এবং খালাস পাওয়া ৭ জনের একই শাস্তি হাওয়া দরকার ছিল। আমরা এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করব।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিত (৩০), সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. লিটন মিয়া (৩০), ওসি প্রদীপের দেহরক্ষী রুবেল শর্মা (৩০), কনস্টেবল সাগর দেব, স্থানীয় বাসিন্দা বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের মো. নুরুল আমিন (২২), মো. নিজাম উদ্দিন (৪৫) ও মোহাম্মদ আইয়াজ (৪৫)।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- কনস্টেবল সাফানুর করিম (২৫), মো. কামাল হোসাইন আজাদ (২৭), মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, এপিবিএনের এসআই মো. শাহজাহান আলী (৪৭), কনস্টেবল মো. রাজীব হোসেন (২৩), আবদুল্লাহ আল মাহমুদ (২০)।
এর আগে দুপুর পৌনে ২টার দিকে ওসি প্রদীপসহ ১৫ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। দুপুর ২টা ২৫ মিনিটের দিকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল ৩০০ পৃষ্ঠার রায়ের সার সংক্ষেপ পড়া শুরু করেন। রায় পড়া শেষ হয় বিকেলে সোয়া ৪টায়।
খুলনা গেজেট/ এস আই