গণসংহতি আন্দোলনকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন দিতে হাইকোর্টের রায় ও নির্দেশনা বাস্তবায়ন না করায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করে।
আদালত অবমাননার অভিযোগে আবেদনটি করেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক মো. জোনায়েদ আব্দুর রহিম সাকি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে কেন কার্যক্রম ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে।
আবেদনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
এর আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি সাবেক সিইসি কে এম নূরুল হুদার বিরুদ্ধে এ আবেদন করা হয়।
আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া জানান, এর মধ্যে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি তার মেয়াদ শেষ হয়।
পরে নতুন সিইসি নিয়োগ পান। তাই আবেদন সংশোধন করে নতুন সিইসিকে বিবাদী করা হয়।
আইনজীবী আরও জানান, গণসংহতি আন্দোলন রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন চেয়ে ২০১৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করে। পরের বছরের ১৯ জুন নির্বাচন কমিশন এক পত্রের মাধ্যমে নিবন্ধন করা যাবে না মর্মে অবহিত করে।
পরবর্তী সময়ে গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষে প্রধান সমন্বয়ক মো. জোনায়েদ আব্দুর রহিম সাকি উচ্চ আদালতে রিট মামলা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে রিট মামলায় উচ্চ আদালত ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল রুল নেয় এবং রায় ও আদেশের অনুলিপি প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে নিবন্ধন দেয়ার আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্নের নির্দেশ দেয়।
গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষ থেকে এ রায় ও আদেশের সত্যায়িত অনুলিপি যথাসময়ে নির্বাচন কমিশনকে জমা দেয়া হয় এবং আদালত থেকেও নিয়ম অনুযায়ী রায় ও আদেশের অনুলিপি পাঠানো হয়।
আইনজীবী জ্যোর্তিময় বড়ুয়া বলেন, ‘আদালতের সুস্পষ্ট রায় ও নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশন কোনো প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এরপর বিভিন্ন সময়ে এই রাজনৈতিক দলের পক্ষে বারবার যোগাযোগ করা হলেও কোনো ফল না পাওয়ায় গত বছরের ১০ অক্টোবর আইনজীবীর মাধ্যমে আদালত অবমাননার নোটিশ পাঠানো হয়।
‘ওই নোটিশপ্রাপ্তির পর বেশ সময় পেরিয়ে গেলেও নির্বাচন কমিশন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় গত ১০ ফেব্রুয়ারি গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষে মো. জোনায়েদ আব্দুর রহিম সাকি প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার কারণে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা চেয়ে আদালত অবমাননা মামলা করি। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত আজকে এ আদেশ দেন।’
খুলনা গেজেট/ এস আই