খুলনা, বাংলাদেশ | ১৯ মাঘ, ১৪৩১ | ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

Breaking News

  বিএনপির দুই গ্রুপের বিরোধে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকে পিটিয়ে হত্যা

সিআইডি পরিচয়ে চিকিৎসককে তুলে নেওয়ার অভিযোগ

গেজেট ডেস্ক

রাজধানীর রামপুরার বাসা থেকে এক চিকিৎসককে সিআইডি পরিচয় দিয়ে তুলে নেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। শাকির বিন ওয়ালী একজন চিকিৎসক। তিনি সদ্য এমবিবিএস পাস করেছেন। ভুক্তভোগী ওই চিকিৎসকের বাবাও একজন চিকিৎসক। শাকিরের বাবা ডা. একেএম ওয়ালী উল্লাহ একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও সার্জন।

তিনি বলেছেন, প্রায় দুই যুগ ধরে পূর্ব হাজীপাড়ার ৬৮/১ নম্বর বাসায় তিনি স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে বসবাস করছেন। গত রোববার বেলা তিনটার দিকে সিআইডি পরিচয়ে সাদা পোশাকে চারজন ব্যক্তি বাসায় যান। তখন পেশাগত কাজে আমি বাইরে ছিলাম। তারা শাকিরকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে নিয়ে যান। তারা নিজেদের নাম, পরিচয় না জানিয়ে শুধু বলেছেন, ‘আমরা সিআইডির লোক’।

বাবা ওয়ালী উল্লাহ আরও বলেছেন, বিষয়টি জানার পর তিনি রামপুরা থানায় যোগাযোগ করেন। থানা থেকে বলা হয় পুলিশ এ ব্যাপারে কিছু জানে না । সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে চাইলে পুলিশ সেটি নেয়নি। পুলিশ ডায়েরিতে নোট নিয়েছে।

বাবা ওয়ালী উল্লাহ আরও বলেছেন, থানা থেকে ফেরার পর ওই দিনই রাত ১০টার দিকে ৪/৫ জনের একটি দল আবার বাসায় আসে। তারা নিজেদের সিআইডির লোক বলে পরিচয় দেন। পরে শাকিরের ঘর তল্লাশি করে একটি মোবাইল ফোন নিয়ে যান। তখনো তারা নিজেদের বিস্তারিত পরিচয় জানাননি। শাকিরের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন, শাকির সিআইডির মালিবাগ কার্যালয়ে আছেন। তদন্তের জন্য তারা দ্বিতীয়বার বাসায় এসেছেন।

ওয়ালী উল্লাহ বলেছেন, ছেলের খোঁজে সোমবার মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ে গিয়েছেন তিনি। কিন্তু ছেলের কোনো খোঁজ পাননি। সিআইডি কার্যালয়ে গিয়ে রিসেপশনে যোগাযোগ করলে সেখান থেকে তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করা হয়। পরে আবারও রামপুরা থানায় জিডি করতে চাইলে পুলিশ কর্মকর্তা গোলাম মাওলা বলেন, তিনি (গোলাম মওলা) নিশ্চিত রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার লোক শাকিরকে নিয়ে গেছে। এ কারণে জিডি করা সম্ভব নয়।

এ বিষয়ে সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিষয়টি আমরা এখনও জানি না। আমাদের তো অনেক ইউনিট আছে। এ ব্যাপারে আমরা খোঁজ নিয়ে পরে জানাব।

খুলনা গেজেট/এসজেড




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!