ফরিদপুরের সালথায় গ্রাম্য দলাদলিকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের সিংহপ্রতাপ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে সাতজনকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, গ্রাম্য দলাদলি ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সিংহপ্রতাপ গ্রামের বাসিন্দা চার নম্বর ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি শাহজান শেখের সঙ্গে চার নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য ইব্রাহিম মোল্লার দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।
কয়েকদিন আগে এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এর পর থেকে সিংহপ্রতাপ গ্রামে উত্তেজনা চলে আসছিল। এরই সূত্র ধরে মঙ্গলবার সকালে উভয়পক্ষের তিন শতাধিক লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সকাল ৮টা থেকে ১০ পর্যন্ত দুই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ইউপি সদস্য শাহজান শেখ, সোহেল মাহমুদ, হোসেন শেখ, সত্তার খালাসী, সুরুজ খালাসী, সুজাদ খালাসী ও ফরহাদ শেখকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
সাবেক ইউপি সদস্য ইব্রাহিম মোল্লা বলেন, গ্রাম্য দলাদলিকে কেন্দ্র করে সকালে আমার দলের সমর্থক সুরুজ খালাসী আর সুজাদ খালাসীর ওপর অতর্কিতভাবে হামলা করে শাহজান শেখের লোকজন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য শাহাজান শেখ বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরে আমাদের গ্রামে গ্রাম্য দলাদলি নিয়ে উত্তেজনা চলছিল। কোনো কারণ ছাড়াই সকালে আমার দলের সমর্থক ময়না নামে এক নারীর দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন ইব্রাহিম মোল্লার সমর্থকরা। খবর পেয়ে আমার লোকজন এগিয়ে এলে সংঘর্ষ শুরু হয়।
সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা ও সালথা সার্কেল) সুমিনূর রহমান বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এছাড়া ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে বেশকিছু দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, অস্ত্র জব্দের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে সালথা থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।