খুলনা, বাংলাদেশ | ৩০ কার্তিক, ১৪৩১ | ১৫ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  আগুন নিয়ন্ত্রণে, খুলনায় পাট গোডাউনসহ ১০ দোকানের কোটি টাকার মালামাল পুড়ে ছাই

সারপ্রাইজ লাইভে যা বললেন তাহসান-মিথিলা

বিনোদন ডেস্ক

তাহসান খান ও রাফিয়াত রশিদ মিথিলা তাদের সম্পর্কের ইতি টেনেছেন ৫ বছর। দীর্ঘ সময় পর আবারও একসঙ্গে পাওয়া গেল এই সাবেক তারকা জুটিকে। শনিবার (১৫ মে) রাত ১০টায় এক বিশেষ শোতে হাজির হয়েছিলেন তারা।

ই-ভ্যালি আয়োজিত অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হয়েছিল প্রতিষ্ঠানটির ফেসবুক পেজে। যেটির সঞ্চালক ছিলেন নাভেদ মাহমুদ। তবে এই শোয়ের জন্য তাহসান ও মিথিলা দু’জনই প্রথমে না করে দেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রাজি হয়েছেন তারা। সেই কারণও জানিয়েছেন।

‘স্যাটারডে নাইট সারপ্রাইজ’ শিরোনামে এই শো শুরু হয় নাভেদ মাহমুদের গেম শো দিয়ে। যেখানে তাহসান-মিথিলা সমান ফলাফল করেন। তারা বেশ কয়েকটি দামি পুরস্কারও পান। যা লাইভ শোয়ের কমেন্ট বক্স থেকে বাছাই করা সেরা মন্তব্যকারীদের মধ্যে বণ্টন করা হয়।

এমন একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে মিথিলা সবার উদ্দেশ্যে বলেন, ‘সবাইকে নিয়ে আমরা ভালো থাকতে চাই। তাই এখানে ভালো কিছু প্রমোট করতে হাজির হয়েছি। অনুরোধ করব, আমরা খারাপ কিছু বলব না এবং শুনবও না। আমাদের পজিটিভিটির চর্চা প্রয়োজন।’

অন্যদিকে তাহসান শোতে বলেন, ‘আমি সারপ্রাইজের স্ট্যাটাস দেওয়ার পর মিথিলাও রিপ্লাই দিল। অনেক ইতিবাচক মন্তব্যের পাশাপাশি নেতিবাচক মন্তব্যও ছিল। যেটি আগেও হয়েছে। আমাদের বিচ্ছেদ হয়েছে ৫ বছর। সঙ্গত কারণেই একসঙ্গে কাজ করা হয় না। কিন্তু প্রতিনিয়ত আমরা সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছি!’

শোয়ের এক পর্যায়ে মা দিবসে অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী আপত্তিকর মন্তব্য প্রসেঙ্গ তাহসান বলেন, ‘কাউকে কটু বলার মধ্যে বীরত্ব নেই, এটা আমরা অনেকেই বুঝি না। এই বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলার সময় এসেছে। মূলত সেই ভাবনা থেকেই প্রথমে আকাশ থেকে পড়লেও পরে এই শো করার জন্য সম্মত হই। কারণ, আমরা দুজন কিন্তু কেউ কাউকে কটু কথা বলছি না। অথচ আমাদের হয়ে অন্যরা প্রতিনিয়ত হেনস্থা করছে সামাজিক মাধ্যমে।’

তাহসান আরও বলেন, ‘আমরা এক শোতে থাকা মানে একটা পজিটিভিটি ভক্তদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া। এটা অবশ্যই সারপ্রাইজ। আমরা আলাদা, কিন্তু পাশাপাশি বসে শ্রদ্ধার সঙ্গে কথা বলতে পারছি। মতাদর্শ ভিন্ন হলেও যে একে অপরকে সম্মান করা যায়, এই বার্তাটাই দিতে চেয়েছি।’

একই প্রসঙ্গে মিথিলা বলেন, ‘এই শোয়ের প্রস্তাবে শুরুতে সোজা মানা করে দিয়েছি। কারণ, একসঙ্গে বসলে আবার জানি মানুষ কি বলে! কিন্তু পরে ভাবলাম যে, পজিটিভ ভাবনার কথাগুলো আমাদের একসঙ্গে বসেই বলা দরকার। উই সুড সেট আ পজিটিভ এক্সাম্পল। এই দেশে তো আমার সন্তানকেও বড় করতে হবে। আমি যত গালি খাই, আমাকে ভালোটাই বলতে হবে। পজিটিভিটির বার্তা ছড়িয়ে দিতে হবে।’

 

খুলনা গেজেট/এনএম




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!