অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনের পর থেকে আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব জব্দ এবং তথ্য চাওয়া হচ্ছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলো আলোচিত সামিট গ্রুপের নাম।
রোববার (৬ অক্টোবর) ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়ে সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আজিজ খানের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ২৩(১) (গ) ধারার আওতায় ৩০ দিনের জন্য এ নির্দেশ প্রদান করা হয়।
বিএফআইইউর একজন সিনিয়র কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সংস্থাটির চেয়ারম্যানের পরিবারের ১১ সদস্যের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্যও চাওয়া হয়েছে।
এই ১১ জনের নাম হল- মোহাম্মদ আজিজ খান, মোহাম্মদ ফয়সাল করিম খান, আঞ্জুমান আজিজ খান, আয়শা আজিজ খান, আদিবা আজিজ খান, জাফর উদ্দীন খান, মোহাম্মদ লতিফ উদ্দিন খান, মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন খান, সালমান খান, কর্নেল (অব.) ফারুক খান।
জানা যায়, এর আগে সামিটসহ ৭ কোম্পানির মালিকানা হস্তান্তর স্থগিত করতে জয়েন্ট স্টকে চিঠি দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
চিঠিতে এনবিআর কোম্পানিগুলোর শেয়ার স্থানান্তর (ক্রয়-বিক্রয় এবং দান) স্থগিত করার জন্য অনুরোধ করেছে। আইকর আইন, ২০২৩-এর ২২৩ ধারার অধীনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর ফাঁকি রোধে সম্পত্তির অন্তরর্তীকালীন অবরুদ্ধকরণ বা ক্রোক এর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষমতা সংরক্ষণ করে।
চলমান তদন্ত অনুযায়ী, এসব কোম্পানির বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগসহ আর্থিক অনিয়মের মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। যার কারণে এসব কোম্পানির শেয়ার স্থানান্তর (ক্রয়-বিক্রয় এবং দান) স্থগিত করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম