খুলনা, বাংলাদেশ | ২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৭ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  বিচার বিভাগকে ঘুষ ও দুর্নীতিমুক্ত করার চেষ্টা হচ্ছে : ড. ইউনূস
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৮ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১৩৮৯
  পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকেও আমরা ভারত থেকে ফেরত চাইব : প্রধান উপদেষ্টা

সামান্য বৃষ্টিতেই চুলকাঠি বাজার কর্দমাক্ত ও পানিতে নিমজ্জিত, দুর্ভোগ চরমে

চুলকাঠি প্রতিনিধি

সামান্য বৃষ্টিতেই বাগেরহাট সদর উপজেলার বাজারের ভিতর চলাচলের রাস্তাগুলি থাকে কাঁদা ও পানিতে নিমজ্জিত। এর ফলে ক্রেতা-বিক্রেতাদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাই বাজারের ভিতরের রাস্তাগুলি সংস্কারের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।

জানা যায়, বাগেরহাট সদর উপজেলার চুলকাঠি বাজারটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক বাজার। দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন স্থান থেকে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সমাগম ঘটে এই বাজারে। রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার হাটের দিন হলেও অন্যান্য দিনেও ব্যাপক লোকজনের উপস্থিতি ঘটে । মনে হয় সে দিনগুলি অনানুষ্ঠানিক হাটের দিন। মাছ, কাঠ ও কাঁচা বাজারের জন্য ঢাকাসহ দেশের দুর-দুরান্ত ব্যবসায়ীদের আগমন ঘটে এই বাজারে। বাজারের ইজারা ডাকও উল্লেখযোগ্য। খুলনা-মংলা মহাসড়ক সংলগ্ন হওয়ায় বাজারের গুরুত্বও বেড়ে গেছে। শহরের মতো চুলকাঠি বাজার সন্নিকট এলাকায় আবাসিক ভাড়াটিয়ার সংখ্যাও বেশি। এসব কারণে চুলকাঠি এলাকাকে মিনি শহর হিসাবে বিবেচনা করা হয়।

এদিকে চুলকাঠি বাজারের ভিতর চলাচলের রাস্তাগুলি বর্ষাকালে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। সামান্য বৃষ্টিতেই বাজারের ভিতরের রাস্তাগুলি পানিতে তলিয়ে যায়। আর যে রাস্তাগুলি পানিতে তলায় না, সেগুলি কর্দমাক্ত হয়ে পড়ে। ফলে ক্রেতা-বিক্রেতা সহ সাধারন মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। মহাসড়ক থেকে বাজারে ঢুকেই প্রধান রাস্তাটি মাছের হাটের সামনে দিয়েই গেছে। এ রাস্তাটি সামান্য বৃষ্টিতে তলিয়ে যায়। কাপড় গুটিয়ে চলাচল করতে হয় সাধারন মানুষকে। সাইকেল, মোটর সাইকেল বা অন্য কোন যানবাহন অতিক্রম করলে অর্ধ-গোসল করে উঠতে হয় চলাচলকারীদের। মাছের হাট থেকে স্বাধীনতা চত্বর এবং স্বাধীনতা চত্বর থেকে সোনা পট্ট্রি সামনে দিয়ে অতিক্রান্ত রাস্তাটি পানিতে তলিয়ে না গেলেও রাস্তা দুইটি থাকে কর্দমাক্ত। জোরে হাটা-চলা করা যায় না। গাড়ি বা কোন ধরনের যানবাহন অতিক্রম করিলে পাশে থাকা মানুষকে গায়ে ছিটিয়ে কাদা-পানি উঠে আসে। স্বাধীনতা চত্বর (বট তলা) থেকে অগ্রণী ব্যাংকের দিকে কাদা-পানির কারণে বাধ্য না হলে লোকজন যেতে চায় না। বাজারের প্রধান সড়ক (কালিপদ কুন্ডুর দোকান) থেকে স্কুল বরাবর রাস্তাটি ভাল থাকলেও বকুল তলায় বর্ষার সময়ে জমে থাকে। আর পানি নেমে গেলে কাদা জমে থাকে দিনের পর দিন।

এদিকে রাখালগাছী রোডের প্রায় ৫০ টি দোকান সামান্য বৃষ্টিতে পানিবন্দী থাকে ৩/৪ দিন। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় পানি বেধে থাকে। বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়ের বদন্যনায় চুলকাঠি বাজারে ১০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে একটি পাবলিক টয়লেট নির্মাণাধীন রয়েছে। পাবলিক টয়লেটের রাস্তাটি সামান্য বর্ষায় থাকে নিমজ্জিত। বাজারের প্রধান সড়ক থেকে প্রায় ১০০ মিটার দূরে নির্মানাধীন পাবলিক টয়লেটে যাতায়াতের কোন রাস্তাও নেই। অল্পদিনের মধ্যে পাবলিক টয়লেটের কাজ সমাপ্ত হলে টয়লেটের যাতায়াতের একমাত্র কাদা-পানির রাস্তাটি হয়ে উঠবে আরও বিষাক্তময়। তাই পাবলিক টয়লেটের রাস্তাটি জরুরি নির্মাণ করা দরকার। যাতায়াতের রাস্তাটি ভাল না থাকলে টয়লেটটিও পরিচ্ছন্ন থাকবে না। এ ব্যাপারে বাজার কমিটি, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকার সচেতন মহল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!