ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস বা ছবি শেয়ারে শিক্ষকদের সতর্ক করল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর। কোনো প্রকার গুজব বা মিথ্য তথ্য ছড়ালে ব্যসস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সরব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। দীর্ঘদিন পর আজ বুধবার চালু করা হয়েছে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সব প্ল্যাটফরম।
এতে অনেকে মিথ্যা, অসত্য, অর্ধসত্য এবং কুরুচিপূর্ণ তথ্য ছড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের।
এমন সময় শিক্ষকদের সতর্ক করল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর। ফেসবুকে অসত্য, বিভ্রান্তিকর, কুরুচিপূর্ণ ও বানোয়াট তথ্য-উপাত্ত পোস্ট/শেয়ার না করতে প্রাথমিকের শিক্ষক-কর্মচারীদের বারণ করা হয়েছে।
অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. হামিদুল হক স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বুধবার (৩১ জুলাই) এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, বর্তমানে অবাধ তথ্যপ্রবাহের যুগে সরকারি, বেসরকারি নির্বিশেষে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং শিক্ষকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করেন। সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ করা যাচ্ছে যে কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে কিছু কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি/গোষ্ঠী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন অসত্য, বিভ্রান্তকর, কুরুচিপূর্ণ ও বানোয়াট তথ্য-উপাত্ত ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট/শেয়ার করে সরকারকে হেয় প্রতিপন্ন করার অসৎ উদ্দেশ্যে লিপ্ত রয়েছেন। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর দেশের অন্যতম বৃহৎ সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং এ অধিদপ্তরের আওতায় বর্তমানে প্রায় পাঁচ লাখের কাছাকাছি শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে সরকারের কোনো আদেশ, নিষেধ বা কার্যক্রম সর্ম্পকে সমালোচনা করা বা সরকারি কোনো কার্যক্রম বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেতিবাচক পোস্ট/শেয়ার করা ‘সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা-১৯৭৯’ এর পরিপন্থী।
এতে আরো বলা হয়েছে, এর আগেও প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারী-শিক্ষকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার সংক্রান্ত বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা, ২০১৯ (পরিমার্জিত সংস্করণ) এ বর্ণিত বিধান অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক এবং ইতোপূর্বে এ অধিদপ্তর থেকে বহুবার বিষয়টি চিঠির মাধ্যমে সব শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবহিত করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/কেডি